নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ তথ্য প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, তথ্য মন্ত্রনালয় সবসময় সাংবাদিকদের কল্যানের জন্য কাজ করছে। ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ কাজ করা হয়েছে। নবম ওয়েজবোর্ডের মধ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অর্ন্তভুক্ত করার জন্য কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অনলাইন পত্রিকার রেজিষ্ট্রেশন কাজ সম্পন্ন করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়নোর জন্য তথ্য মন্ত্রনালয় সারাদেশে তথ্য অভিযান পরিচালনা করেছে।
শনিবার সকালে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তথ্য প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো প্রতিবছর ১৪০ মিলিয়নের মতো খরচ করে। নিজস্ব স্যাটেলাইট হওয়ার কারণে এটি এখন থেকে সাশ্রয় হবে। ৭/৮ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নির্মাণ খরচ উঠে আসবে এরপর থেকে যা হবে তা লাভ। ইতিমধ্যেই যে সকল দেশে ফুট প্রিন্টিং আছে সে সকল দেশের সাথে ব্যবসায়ীক আলাপ চলছে। এটাতো দৃশ্যমান লাভ। আরেকটি লাভ হলো আমরা বিশ্বে স্যাটেলাইটের জন্য ৫৭তম দেশ হয়েছি। এটি একটি জাতীয় গৌরবের বিষয়। আর একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এই জাতীয় গৌরবের অংশীদার হতে পারতেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি ধন্যবাদ জানিয়ে। কিন্তু সেই গৌরবের অংশীদার তারা হতে পারেননি। এটি একটি অদ্ভুদ রাজনৈতিক কালচার। বিএনপি দলের চিন্তা চেতনার উর্দ্ধে উঠতে পারেন না।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, এলাকার এমপি না হয়েও আমি দু’টি উপজেলায় নতুন নতুন রাস্তা-ঘাট-ব্রীজ-কালভার্ট নির্মানসহ অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছি। অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান আছে এবং বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কাজ টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় আছে। দুই উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ আমাকে ভালবেসে, আমার পাশে আছে। আমিও সুখ-দুঃখে তাদের পাশে আছি এবং থাকবো। দল তাকে মনোনয়ন না দিলেও তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলে তারানা হালিম জানান।
মতবিনিময় সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
