ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক নির্মানের সপ্তাহ যেতে না যেতেই বেহাল অবস্থা!

প্রকাশিত: ০০:১৭, ২৬ মে ২০১৮

সড়ক নির্মানের সপ্তাহ যেতে না যেতেই বেহাল অবস্থা!

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ বাউফল সদর ইউনিয়নের হোসনাবাদ সরকারী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন আরসিসি ব্রিজ থেকে আলম গাজীর বাড়ি পর্যন্ত ২৩ লাখ টাকা ব্যায়ে দের কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণের পর সপ্তাহ যেতে না যেতেই অধিকাংশ জায়গার কার্পেটিং উঠে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। নি¤œমানের কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে কোহিনূর এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটির নির্মাণ কাজ করেছেন। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সড়কটির অনেক স্থান থেকেই উঠে গেছে সদ্য করা কার্পেটিং। সামান্য খোঁচাতেই বের হয়ে আসছে যাচ্ছে পূর্বের ভাঙাচোড়া সড়কের অংশ। সড়কটিতে সঠিকভাবে রোলার না করায় পুরো সড়ক জুড়েই এবরো থেবরো অবস্থা। সড়কটির তালকুদার বাড়িরর সামনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক শিশু সড়কটির উপর উঠে যাওয়া কার্পেটিংয়ের পাথর হাত দিয়ে কুড়িয়ে খেলা করছিল। সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ করায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জনকণ্ঠের এ প্রতিনিধিকে দেখে জনৈক এক ব্যাক্তি বলেন, “ভাই এই রাস্তায় মনে হয় কোনো বিটুমিন দেয় নাই। খালি পোড়া মবিল দিয়া করছে। বিটুমিন দিয়াই যদি রাস্তা করত তাইলে রাস্তার এই দশা হইতো না। রাস্তা করার সপ্তাহ যাইতে না যাইতেই পুরা রাস্তার উপর দিয়া পিছ ধূলের মত উইঠ্যা যাইতে আছে।’ সড়কটি নির্মাণের সময় যথাযথ তদারকি না থাকায় এ অবস্থা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীযদেও কেউ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ব্যকিত জানান, সড়কটির তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন, এসও আব্বাস উদ্দিন। ওই এলাকাই তার বাড়ি। ঠিকাদারের কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ায় কারণেই সড়কের কাজ খারাপ হয়েছে। আর এ কারণে তিনি এলাকার লোকজনের কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিজে ওই সড়কটি ভিজিট করেছি। আমার চোখে কোথোও কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। কিন্তু পরবর্তিতে যদি কোথাও কোনো সমস্যা তৈরী হয় তাহলে তা সংশোধন করে বিল দেয়া হবে।
×