ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে পাঁচশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০০:২২, ২৬ মে ২০১৮

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে পাঁচশতাধিক অবৈধ  স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় গড়ে ওঠা পাঁচশতাধিক অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। এ সময় সওজের বুলডোজার দিয়ে মহাসড়কের উভয় পাশের ফুটপাথে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন ফলের দোকান, কাঁচাবাজার, জুতো, জামা-কাপড়, খাবার হোটেল ও বিভিন্ন গণপরিবহন টিকিট কাউন্টারসহ নানা স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রত্যয় হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌসের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ আজিজুল হকসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টায় থেকে উচ্ছেদ অভিযানে শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আহসান উল্ল্যাহ সুপার মার্কেট, নেকবর আলী সুপার মার্কেট, কাসসাফ শপিং কমপ্লেক্স ও চাঁন সুপার মার্কেটের সামনের সওজের জাগায় গড়ে ওঠা কাঁচাবাজার, জামা-কাপড়ের দোকান, জুতো, ভাসমান হোটেলসহ বিভিন্ন ফলে দোকানপাটও বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌস বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেলে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সওজের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি কাঁচাবাজারসহ দোকাপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পাঁচ শতাধিক দোকানপাট গুড়িয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় উভয় পাশে সওজ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, চাঁদাবাজ চক্র বিভিন্ন দোকানপাট বসিয়ে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব দোকানপাট থেকে প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে ২শ’ থেকে ৩’শ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ উচ্ছেদ অভিযান কোন কাজে আসে না। কারণ সকালে উচ্ছেদ হলে বিকেলেই আবারও দোকান-পাট বসে যাচ্ছে। এ শিমরাইল মোড়ে কয়েকমাস পর পরই উচ্ছেদ চালানো হয়। কিন্তু বেশীদিন স্থায়ী হয় না। কারণ এ দোকানপাট থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তির ও চাঁদাবাজ চক্রটি অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই উচ্ছেদের ফলাফলটি বেশীদিন টিকসই হচ্ছে না।
×