অনলাইন ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও'র ডেনিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এরিক ক্লেমেত্তি বলছেন, একটা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত কতটা ভয়ংকর হবে সেটা আগে থেকে ধারণা করা কঠিন।
বিবিসিকে তিনি বলেন, "যখন আপনি একটা আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষেন করছেন, তখন বড় কিংবা ছোট - সব অগ্ন্যুৎপাতের সংকেত একই রকম হবে"।
"এখানে আপনাকে দুটি বিষয়ের ব্যালেন্স করার চেষ্টা করতে হবে। একটা হল অগ্ন্যুৎপাতের সময় এবং আকার। আর এটা একই সময় করা বেশ কঠিন," বলছিলেন তিনি।
গুয়েতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বহু মানুষ প্রাণ হারানোর পর প্রশ্ন উঠছে কী মাত্রায় অগ্ন্যুৎপাত হবে, সেটা ধারণা করা আদৌ সম্ভব কি-না?
মি. ক্লেমেত্তি বলছেন, এটা সাধারণত একটা বড় মাত্রার অগ্ন্যুৎপাত। তাই আগের উদাহরণের উপর ভিত্তি করে হলেও বিশেষজ্ঞদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলতে পারা।
বিপদ চিহ্নিত করা:
বিজ্ঞানীরা কীভাবে বলতে পারেন কোন আগ্নেয়গিরিটা বেশি বিপজ্জনক?
আগ্নেয়গিরির প্রকারভেদ করা মোটেই সহজ কাজ নয়।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত মনে করা হতো যে হাওয়াইয়ের কিলাওয়ে আগ্নেয়গিরি সবচেয়ে জীবন্ত। কিন্তু সবচেয়ে বিপদজনক বলতে যা বোঝায়, সেটা আবার না।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ইতিহাস:
একটা আগ্নেয়গিরির হাজার বছরের ইতিহাস থাকতে পারে। তবে ভবিষ্যতে কিভাবে এটা ফিরে আসবে, তার কোন পূর্বাভাস পাওয়া যায় না।
কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
পর্যবেক্ষণ:
যদিও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস পাওয়া নির্ভুলভাবে পাওয়া কঠিন, কিন্তু কিছু আস্থা-রাখার মত সংকেত আছে যেটা অ্যালার্ম বাজায়।
যদি কোন এলাকার মানুষ সঠিক সংকেতটি বুঝতে পারে তাহলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটা সুযোগ পায় খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই প্রস্তুতি নেয়ার।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
শীর্ষ সংবাদ: