ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুরগির দাম বাড়লেও অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ৯ জুন ২০১৮

মুরগির দাম বাড়লেও অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাজেট ঘোষণার পর বাজারে মুরগির দাম বাড়লেও বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছের বাজার চড়া। এছাড়া চাল, ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল এবং আটার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া দু’একটি সবজির দাম বাড়লেও বেশির ভাগের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার, রাজধানীর কাপ্তান বাজার, কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচাবাজার এবং মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিকেজি উন্নতমানের নাজির ও মিনিকেট সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬৬, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা ৪৮-৫৪ এবং মোটা স্বর্ণা ও ইরি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪২ টাকায়। আমদানিকৃত চালের উপর ফের ২৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা রয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এ কারণে অনেকের আশঙ্কা ছিল, আমদানিকৃত চালের দাম বাড়তে পারে। তবে বাজারে কোন চালের দাম বাড়েনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর ইতোপূর্বে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করা হয়েছে। সরকারী-বেসরকারীখাতে চালের মজুত সন্তোষজনক। এ কারণে চালের দাম বাড়বে না। খুচরা পর্যায়ে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। কাপ্তান বাজারের চাল বিক্রেতা নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, বাজেট ঘোষণার পর খুচরা পর্যায়ে কোন দাম বাড়েনি। চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। এছাড়া দাম বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকায়। গত সপ্তায় এসব মুরগি ১৪৫-১৫৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া গরুর মাংস ৪৫০-৫০০, খাসি ৭০০-৮০০ এবং ইলিশ মাছ ৫০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম। প্রতিকেজি ছোলা ৬০-৭৫, মসুর ডাল ৫৫-১১০, ভোজ্যতেল ৮৫-৮৮ প্রতিলিটার, পাঁচ লিটার বোতল ৪৮০-৫২০, চিনি ৫৫-৬০, লবন ২৫-৩৮, আটা ২৬-৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩০-৪০, রসুন ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শাক-সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফকিরাপুল বাজারের মুদিপণ্যের বিক্রেতা রায়হান জানান, এখন পর্যন্ত নতুন করে কোন জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। এছাড়া ঈদের কারণে নগরবাসী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে জিনিসপত্রের চাহিদাও ধীরে ধীরে কমে আসছে।
×