ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক খাতের কর্পোরেট কর কমানোর দাবি ইএবি’র

প্রকাশিত: ০২:৩২, ১১ জুন ২০১৮

পোশাক খাতের কর্পোরেট কর কমানোর দাবি ইএবি’র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পোশাকখাতের কর্পোরেট করহার কমানোর দাবি জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। সংগঠনটির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী লিখিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তৈরি পোশাক খাতের কর্পোরেট কর ১২ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের করপোরেট কর কমানো হয়েছে। কিন্তু যে খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হচ্ছে, সেই পোশাক খাতের করপোরেট কর বাড়ানো হয়েছে। ইএবি মনে করে, করপোরেট কর বাড়ানোর ফলে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবেন। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, পোশাকশিল্পে করপোরেট করহার ১০ শতাংশ নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন। তৈরি পোশাক রফতানি খাতের যৌক্তিক দাবি ছিল পূর্বের ন্যায় ১০ শতাংশ, যা বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানে আরো সক্ষমতা বৃদ্ধি পেতো। শিল্পের স্বার্থে কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল। পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য কর্পোরেট কর কমপক্ষে ৫ শতাংশ কমানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য উৎসে কর কর্তনের হার ০.৭০ প্রযোজ্য আছে, যা ১ জুলাই থেকে ১ শতাংশ হিসাবে উৎসে কর বাস্তবায়িত হবে। যদি ১ শতাংশ হারে উৎসে কর বাস্তবায়িত হয় তাহলে রফতানিমুখী শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে, শিল্পের সক্ষমতা কমে যাবে। বিষয়টি অর্থমন্ত্রী পূনঃবিবেচনা করবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী উৎসে কর ০.২৫ ভাগ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত বলবৎ রাখা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, যা আমাদের নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। বিষয়টি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি, যাতে করে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বজায় থাকে। সুদের হার না বাড়ে, যেন বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ ক্ষেত্রে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করি।
×