ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সঞ্চয়পত্র কিনছেন ধনী-গরীব সবাই

প্রকাশিত: ০২:২৬, ১২ জুন ২০১৮

সঞ্চয়পত্র কিনছেন ধনী-গরীব সবাই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সঞ্চয়পত্রের সুদহার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পাশের পরের মাসেই সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে ১ থেকে ২ শতাংশ কমতে পারে সঞ্চয়পত্রের সুদহার। এজন্য হিড়িক লেগেছে সঞ্চয়পত্র কেনায়। কিনছেনও ধনী-গরীব সবাই। যদিও এই সঞ্চয়পত্র স্কিম সমাজের বিশেষ একটি শ্রেণীর জন্য। বিশেষ করে যারা এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বছল হবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার অনেক কমালে মধ্যবিত্ত শ্রেণি সঞ্চয়ে উত্সাহ হারাবে। আর এখনই সঞ্চয়পত্রের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। কালোবাজারিরা বেশি সঞ্চয়পত্র কিনে এ সঙ্কট আরো প্রকট করতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। সম্প্রতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী জানান, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার দুই-তিন বছর পর পর পর্যালোচনা করা হয়। কিন্তু এবার একটু দেরি হয়েছে; পরের মাসেই এটি রিভিউ হবে। সবশেষ ২০১৫ সালের ১০ মে সবধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদ হার গড়ে ২ শতাংশ কমানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সরেজমিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন বিনিয়োগকারীরা। ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে প্রতিটি গ্রাহকের। এ বিষয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকের মতিঝিল শাখার মহাব্যবস্থাপক মো. মাছুম পাটোয়ারী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটর পর অর্থমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়া ব্যাংকে আমানতের সুদের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদহার বেশি হওয়ায় মানুষ সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন। তিনি বলেন, এই ঘোষণার পর প্রতিদিনই সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য গ্রাহক ভিড় করেছে। এত লোক যে আমাদের অফিসাররা তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
×