অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঝড়ে রশি ছিঁড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জেটি থেকে সরে গেছে দুটি জাহাজ, পড়ে গেছে কিছু কন্টেইনার।
বুধবার রাত থেকে বন্দরে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বর্ষণের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, “সকাল পৌনে ৯টার দিকে টর্নেডো আঘাত হানে। ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিটেরও কম।
“বন্দরের ৯, ১১ ও ১৩ জেটিতে টর্নেডোর প্রভাব পড়ে। এসময় ৯ ও ১৩ নম্বর জেটির শেডের ছাউনির কিছু টিন উড়ে যায়। ১১ ও ১৩ নম্বর জেটিতে থাকা জাহাজ ওইএল স্ট্রেইট এবং ভেরি ট্রেডার দড়ি ছিঁড়ে জেটি থেকে সরে যায়।”
জাহাজ দুটিকে ফেরত আনা হয়েছে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, “কিছু কন্টেইনার পড়ে গিয়েছিল, সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া শেডের মেরামত কাজও চলছে।”
সাগরে লঘুচাপ না থাকলেও সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে ভারি বর্ষণ আরও একদিন স্থায়ী হতে পারে বলে আভাস আবহওয়া অধিদপ্তরের। সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, “মৌসুমী বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত আছে।
“উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।”
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।