ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ি অপেক্ষায় ফেরি

প্রকাশিত: ০২:১১, ১৪ জুন ২০১৮

শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ি অপেক্ষায় ফেরি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা কোন প্রকার দুর্ভোগ ছাড়াই পার হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অন্যতম এই প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির অপেক্ষায় ফেরিগুলো ঘাটে অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিমুলিয়া ঘাটে সরজমিনে ঘুরে এমনটিই দেখা গেছে। সকালের দিকে কিছুটা যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে যায়। দুপুরের দিকে কম সংখ্যক যাত্রীবাহী গাড়ি থাকায় পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হয়েছে। তবে পারাপারের অপেক্ষায় ফেরি ঘাটে গাড়ি তেমন না থাকলেও যাত্রীর চাপ কম ছিল না। ঘরমুখো যাত্রীরা ঈদে প্রিয়জনের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে বৃহস্পতিবার থেকেই নাড়ির টানে বাড়ির দিকে ছুটেছেন। তারা ঢাকা-মাওয়া লোকাল বাসে করে এসে শিমুলিয়া ঘাটে নেমে লঞ্চ, সিবোট ও ফেরিতে করে নৌপথ পারি দিয়ে ওপারে যাচ্ছে। সেখান থেকে আবার বিভিন্ন পরিবহনে করে গন্তব্যে পৌছছে। তাই বৃহস্পতিবার লঞ্চ ও সিবোর্ট ঘাটে উপচে পরা যাত্রীর ভিড় ছিল। বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা কমেছে। তাই রাস্তার পাশে আটকে রাখা পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পার করা হচ্ছে। এ নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলো চারটি ঘাটে গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছে। যদি ফেরি ঠিকমতো চলে আর আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের তেমন অসুবিধা হবে না। এদিকে বৃহস্পতিবার ঘাট এলাকা পরিদর্শনে আসেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম। তিনি যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং কেউ যেন যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিস্টদের কঠোর হওয়ার নিদের্শ দেয়। লাইফ জ্যাকেট ছাড়া কোন যাত্রী যেন সি-বোটে না উঠে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এ সময় জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা উপস্থিত ছিলেন। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানিয়েছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যাপক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রশাসন থেকে সারাক্ষণ মনিটরিং করা হচ্ছে। ৩টি মোবাইল টিম সার্বক্ষনিক কাজ করছে। এছাড়া আমি ও আমার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘাটে কাজ করে চলেছি। এছাড়া ঘাটের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা, ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্যসহ র্যাব, আনসার, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ কাজ করছে। এর বাইরে মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের ধরতে সাদা পোশাকের পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ তিন স্তবেরর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তায়।
×