ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আয়োজক হতে না পারায় এবারও হতাশ মরক্কো

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১৫ জুন ২০১৮

 আয়োজক হতে না পারায় এবারও হতাশ মরক্কো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক এক করে এ নিয়ে পাঁচবার ফুটবল বিশ্বকাপ নিজ দেশে করানোর চেষ্টা করেছে মরক্কো। এর আগে চারবারই ব্যর্থতার বোঝা কাঁধে ঝুলেছে। এবার ২০২৬ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাব রেখেছিল মরক্কো। কিন্তু এবারও কপাল পুড়ল মরক্কোর। ব্যর্থ হতে হলো আবারও। মরক্কোর ব্যর্থতায় সাফল্য মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর। যৌথভাবে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে তারা। ফিফা কংগ্রেসে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে আফ্রিকান প্রতিদ্বন্দ্বী মরক্কোকে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব পেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। এই প্রথমবারের মতো তিন দেশ মিলে কোন বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে। এর আগে ২ দেশ মিলে আয়োজন করেছিল। ২০০২ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। মস্কোয় অনুষ্ঠিত ফিফার কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে জেতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। জেতার পরপরই আনন্দে ফেটে পড়ে কনকাকাফ অঞ্চলের প্রতিনিধিরা। তিন দেশের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতোই একটি আয়োজন করতে চান তারা। ২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ৪৮ দল নিয়ে। নিশ্চিতভাবেই বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা, টুর্নামেন্টের পরিধি। এ কারণে, এতবড় টুর্নামেন্ট এককভাবে কেউ আয়োজন করতে পারবে না বলেই নিজেদের প্রচার-প্রচারণায় জানিয়েছিল উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো। সারাবিশ্বের এই উপজীব্য নিয়েই ভোট চেয়ে বেড়িয়েছে তারা তিন দেশ। ভোটে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল সভাপতি কার্লোস কদেইরো সঙ্গে সঙ্গেই বলেন, ‘অনেক অনেক ধন্যবাদ। এ রকম একটি সম্মান দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ এ রকম একটি বিশেষাধিকারে আমাদের ভূষিত করার জন্য। ফুটবলে আমরা সকলেই দলবদ্ধ। সকল সীমান্ত আর বাধা ইতোমধ্যেই অতিক্রম করেছে এই সুন্দর খেলাটি। আজ সত্যিকার অর্থে ফুটবলেরই জয় হয়েছে।’ এ নিয়ে মোট পাঁচবার বিশ্বকাপ আয়োজন করার প্রস্তাব রেখেও কাজ হয়নি। কপাল খোলেনি মরক্কোর। এ নিয়ে পাঁচবারই হারলো তারা। তবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা শেষে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা আমেরিকা, কানাডা আর মেক্সিকোকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সঙ্গে মরক্কোকেও। দু’দলই খুব ভালভাবে এগিয়েছিল। আর এটা একটা ভাল দিক যে এখানকার নির্বাচন ব্যবস্থা পুরো স্বচ্ছ আর পরিষ্কার। আমরা আশা করছি যে, তারা খুব ভালভাবেই বিশ্বকাপ আয়োজনে সফল হবে। আমরা এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি।’ ফিফা সদস্য হিসেবে মোট ২১৩টি দেশ থাকলেও বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ বাছাইয়ের ভোট দিতে পারে শুধু ২০০টি দেশ। ২০০ ভোটের ১৩৪টিই পড়ে আমেরিকা, মেক্সিকো আর কানাডার বাক্সে। বাকি ৬৬ ভোটের ৬৫টি পড়ে আফ্রিকান দেশ মরক্কোর বাক্সে। একমাত্র দেশ হিসেবে টোগো কোন পক্ষেই ভোট দেয়নি। অর্থাৎ ৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে মরক্কোকে হারিয়ে দেয় উত্তর আমেরিকার তিন দেশের যৌথ কনসোর্টিয়াম। ৩ দেশে মোট ২৪টি স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। যেখানে মেক্সিকো আর কানাডার ৩টি করে ৬টি স্টেডিয়াম এবং বাকি ১৮টি স্টেডিয়াম যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস, লস এঞ্জেলেস অথবা নিউইয়র্কে। এর আগে ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল উত্তর আমেরিকা মহাদেশ। এছাড়া আরও একটি অভিনবত্ব আনা হয়েছে এই বিশ্বকাপে। আর তা হলো এই বিশ্বকাপেই প্রথমবারের মতো ৪৮ দল অংশ নেবে। ম্যাচসংখ্যা হবে ৮০টি। এর মধ্যে ফাইনালসহ ৬০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আর ১০টি করে ম্যাচ পেয়েছে কানাডা ও মেক্সিকোতে।
×