ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশে : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ১৮ জুন ২০১৮

বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশে  :  বাণিজ্যমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ ইউনাইটেড স্টেটস গ্রীণ বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক প্রত্যায়িত বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশে অবস্থিত। এ পর্যন্ত ৬৭টি কারখানাকে ইউএসজিবিসি কর্তৃক সবুজ কারখানা হিসেবে প্রত্যায়ন করা হয়েছে। আরও প্রায় ৩০০টি সবুজ পোশাক কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী জানান, শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা অনুসারে গ্রীণ ফ্যাক্টরী সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ কোন বিধান নেই। তবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন অনুসারে ’এ’ গ্রেড ভূক্ত তৈরি পোশাক কারখানা ৪৩৬ এবং বি গ্রেড ভূক্ত তৈরি পোশাক কারখানার সংখ্যা ২২৮টি। তৈরি পোশাক কারখানাসমূহ পরিবেশ বান্ধব ও পর্যায়ক্রমে গ্রীণ ফ্যাক্টরির ধারণাভূক্ত করে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, বিশ্বের ২১টি মিশনে বাণিজ্যিক উইং রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মিশন চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম চার মাসের লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো হতে উক্ত মিশনসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তথা কমার্শিয়াল কাউন্সিলর/প্রথম সচিব/ইকোনোমিক কাউন্সিলরদেরকে স্ব স্ব বাজার বিশ্লেষণ করে ব্যর্থতার কারণ জানানোর জন্য লেখা হয়েছে, যাতে আমরা পরবর্তীতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। এর মধ্যে কিছু জবাব পাওয়া গেছে এবং সে অনুযায়ী সরকারের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করতে সরকারের নানাবিধ পরিকল্পনা রয়েছে। ডব্লিউটিও সেল কর্তৃক প্রতি বছর ঝুঁকি মোকাবেলা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে ব্যবসায়ী, বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য ৬টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যাদি ভোক্তাসাধারণের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দেয়া বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদির সরবরাহ ও মূল্যের বিষয়টি দেশজ উৎপাদন এবং আমদানীর উপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে এই সকল পণ্যের দাম উঠা-নামা করলে দেশীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়ে থাকে। তাই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। তিনি জানান, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে দ্রব্য মূল্য জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে চিনি, ভোজ্যতেল, সয়াবিন, পামওয়েল, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর বিদেশ হতে আমদানি করা হয়েছে। এতে দেশের জনগণ সুলভ মূল্যে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
×