ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত - মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১৯ জুন ২০১৮

ঢাকার দিনরাত - মারুফ রায়হান

ঈদে ঢাকা ফাঁকা হয়ে যায়, ঘুরে বেড়াতে বেশ মজা- এমন কথা বরাবরই আমরা বলে থাকি। কিন্তু ঈদের দিন বিকেলবেলা পঙ্গু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শিশু মেলার সামনে দিয়ে রাস্তা পেরুতে গিয়ে দেখি বেজায় ভিড়। একেবারে সেই চিরপুরাতন ঢাকার রূপ! আজ সত্যিই ঈদ তো! রাস্তার উভয় পাশ দিয়ে যানবাহন ছুটেই চলেছে। যদিও শিশুমেলা থেকে যে সড়কটি বাঁ দিকে ঘুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দিকে গেল ওই মোড়টির জেব্রা ক্রসিংয়ের সামনের ফুটপাথে শত শত মানুষ অপেক্ষায়। উল্টোদিকেও একই অবস্থা। অবশ্য উভয় পাশেই বাস-মিনিবাস এসে থামছে এবং যাত্রী ওঠানামা করছে। রাস্তার চলমান গাড়ির বহরের ভেতর দিয়ে শত লোক কিভাবে রাস্তা পেরুবে? এখানে কোনো সিগন্যাল বাতি নেই। একজন ট্রাফিক কর্মকর্তা ও একজন ট্রাফিক পুলিশ বাহিনীর পোশাক পরে দাঁড়িয়ে থাকলেও কর্তব্য পালনের কোন আগ্রহ তাদের ভেতর নেই। শিশুমেলায় আসা শিশু ও তার অভিভাবকদের রাস্তা পেরুতে যে তারা কোন উদ্যোগ নেবেনÑ এমনটা মনে হলো না। অনুরোধ করার পরেও কর্মকর্তা গাঁট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। বললেন, ওই যে শ্যামলীর ফুটওভারব্রিজ দেখা যায়, ওখান থেকে রাস্তা পেরুতে হবে। বলাবাহুল্য ওভারব্রিজটি তিনশ-চারশ গজ দূরে। আর সেখানে যেতে হলেও রাস্তার মানুষজনকে আরেকটি ব্যস্ত সড়ক অর্থাৎ শিশুমেলার উত্তর দিকের দ্বিমুখী যান চলাচলের সড়ক পার হয়ে যেতে হবে। এই পারাপারের জন্য তো কোন ওভারব্রিজ নেই! অবুঝকেও বোঝানো সম্ভব, কিন্তু অবুঝের ভান করে থাকে যে জন তাকে বোঝাবে কে? ঈদের দিন ওই ট্রাফিক পুলিশদ্বয় ওই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছেন জনতার উপকারার্থে যে নয়, সেটা পরিষ্কার। তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তা নিয়ে বিশদ বলার কিছু নেই, সবার ধারণা রয়েছে। যা হোক, এত কথা বলার কারণ একটিই। সেটি হলো ট্রাফিক পুলিশ তার দায়িত্ব কতটুকু ও কিভাবে পালন করছেন সেটি মনিটরিংয়ের জন্য কোন টহল টিম কি থাকতে পারে না? আকস্মিকভাবে তারা টহল দেবেন। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। তাহলে যদি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়।
×