ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেই ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২০ জুন ২০১৮

  মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেই ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি কোন শক্তিই আটকাতে পারবে না। আগামী ২০২৮-২৯ সালে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব। তার আগে ২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে এই ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমাদের ধরে রাখতে হবে কমপক্ষে তিন বছর। এজন্য প্রয়োজন সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করে যাওয়া। মঙ্গলবার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কমিশনের সংস্থাগুলোর মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারী কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন। পরিকল্পনা সচিব মোঃ জিয়াউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, শামীমা নার্গিস, জুয়েনা আজিজ এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেদ্রনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, শিল্প ও শক্তি বিভাগ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, কৃষি, পানি সম্পদ পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ, এনএপিডি, বিআইডিএসসহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এটা নিছক একটি চুক্তি নয়, এটা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতাও নয়, এটি হচ্ছে নিজের বিবেকের কাছে নিজের পরীক্ষা। তবে এ কথা সত্য যে, কাজ করার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয় না। আকাশে লক্ষ তারা রয়েছে কিন্তু একটি চাঁদের আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত হয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা একেকজন একেকটি চাঁদ। আপনাদের কাজ এবং আলোয় আলোকিত হবে চারদিক। তিনি আরও বলেন, আমাদের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগামীতে শিক্ষা ও রাজস্ব খাতের ব্যাপক সংস্কার করা হবে। শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করা হবে। আর রাজস্ব আদায় এমন হতে হবে যাতে বেশি লোক করের আওতায় আসবে এবং করের হার কম হবে। তাহলে একদিকে যারা কর দেন তাদের ওপর চাপ কমবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। করের হার কমিয়েও কর রাজস্ব আদায় ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
×