ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে জেএমবি সদস্য কাশেমের বিস্ফোরক মামলায় যুক্তিতর্ক

প্রকাশিত: ০০:০১, ২০ জুন ২০১৮

শেরপুরে জেএমবি সদস্য কাশেমের বিস্ফোরক মামলায় যুক্তিতর্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে জেএমবির নব্য সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাব (২২) এর বিরুদ্ধে বিচারাধীন চাঞ্চল্যকর বিস্ফোরক মামলায় যুক্তিতর্ক প্রায় শেষ হয়েছে। বুধবার শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এ ওই যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এম.এ নূর উভয় পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ-গ্রহণ করে ওই মামলায় বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের আইনগত ব্যাখ্যা প্রদানের তারিখ ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পিপি এডভোকেট অরুণ কুমার সিংহ রায় ওই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাইব্যুনালে উভয় পক্ষের আইনগত ব্যাখ্যা শেষ হলে খুব শীঘ্রই তা রায়ের জন্য কার্যতালিকায় রাখা হবে। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাতে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে জঙ্গিদের বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক পদার্থের গোডাউনের সন্ধান এবং ওই গোডাউন থেকে নাইট্রিক এসিড, সালফারিক এসিড, ক্লোরোফর্ম ও ডাইক্লোমেথিনসহ বিস্ফোরক তৈরির প্রায় ৬শ লিটারের বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক তরল পদার্থ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ৭ অক্টোবর নকলা থানায় গোডাউনের ভাড়াটে আবুল কাশেম (২২) ও ফয়েজ উদ্দিন (৩৩) এবং মালিক মিনারা বেগম (৩২)সহ স্বনামে ৩ জন ও অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন জঙ্গীকে আসামী করে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫/৬ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড হয়। ওই মামলায় পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার হয় প্রধান আসামী আবুল কাশেমসহ সকল আসামী। পরবর্তীতে আদালতে আবুল কাশেম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুর রহমান তদন্ত শেষে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর একমাত্র আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এক পর্যায়ে কাকতালীয়ভাবে আবুল কাশেম জামিনে বেরিয়ে গেলেও ফের গ্রেফতার হয়ে ওই মামলায় হাজতে যায়। চলতি বছরের ৮ মার্চ ওই মামলায় আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
×