ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আদমদীঘিতে কাঁচামরিচের বাম্পার ফলনে দরপতন, হতাশ কৃষক

প্রকাশিত: ০৩:০০, ২০ জুন ২০১৮

আদমদীঘিতে কাঁচামরিচের বাম্পার ফলনে দরপতন, হতাশ কৃষক

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ২০ জুন ॥ বগুড়ার আদমদীঘিতে রোপা আমন ও ইরি-বোরো ধান চাষের পাশাপাশি অল্প সময়ে বাড়তি লাভের আশায় মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক। গত বছর মরিচ চাষ লাভজনক হওয়ায় এবছর উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে কৃষকরা মরিচ চাষ করেছে। কিন্তু চলতি মৌসুমে কাঁচা মরিচের চাষ বৃদ্ধি ও বাম্পার ফলন হবার কারনে ঘটেছে দরপতন। আশানুরুপ দাম না পেয়ে কৃষকরা হতাশায় ভুগছে। এখানকার মরিচের গুণগত মান ভাল হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয় ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় এবছর প্রায় দুই শত বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ চাষ করা হয়েছে। যা গত বারের তুলনায় অর্ধেক বেশি। মঙ্গলবার আদমদীঘি হাটে ঘুড়ে দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ কাঁচা মরিচের আমদানি। প্রতি কেজি মরিচ মাত্র ১৫ থেকে ২৫টাকা দরে পাইকারি বেচা-কেনা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিছু কিছু গ্রামে গত কয়েক বছর পূর্বে পরীক্ষামূলক ভাবে কাঁচা মরিচের চাষাবাদ শুরু হয়। অল্প খরচে অধিক ফলন ও আশানুরুপ দাম পেয়ে লাভজনক হয় আবাদী কৃষকরা। খবরটি জানাজানি হবার পর এলাকার অন্য কৃষকরা মরিচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের গাছ গুলোতে এখনো পোকা বা ছত্রাক আক্রমন করতে পারেনি। ফলে ফলন হয়েছে বাম্পার। কিন্তু আশানুরুপ দাম পাচ্ছে না মরিচ চাষিরা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশরতা গ্রামের মরিচ চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বিঘায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে কিন্তু দরপতনের কারনে এখন চাষ ও মরিচ তোলা শ্রমিকের খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী দিল গুলোতে বাজারে মরিচের দাম বাড়লে কিছুটা পুষে উঠবে। ওই গ্রামের মরিচ চাষী আসাদ আলী জানায়, আমার ১২ শতক জমিতে এবার মরিচের আবাদ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হাট-বাজারে ২৫ টাকা কেজি’র বেশি দামে বিক্রি করতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত চাষ ও মরিচ তোলা শ্রমিকের খরচ উঠবে কি-না সে চিন্তায় ভুগছি।
×