ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ॥ বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:০০, ২০ জুন ২০১৮

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ॥  বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ বুধবার সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের প্রচন্ড ভীড় শুরু হয়েছে শিবচর কাঁঠালবাড়ি ঘাটে। লঞ্চ ও স্পীডবোটে যাত্রী চাপ ছিল বেশি। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত যানবাহন সংকট থাকায় দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে। এদিকে দুপুরে বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রায় এক ঘন্টা লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় আটকে পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিকেলে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় যাত্রী চাপ আরো বৃদ্ধি পায়। বিআইডব্লিউটিএসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। লঞ্চ ও স্পীডবোটে যাত্রীদের চাপ থাকলেও অধিকাংশ ফেরি যানবাহন ও যাত্রী সংকটে ঘাটেই নোঙ্গর করা ছিল। যাত্রী চাপ বেশি থাকায় লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি বোঝাই হয়ে পদ্মা পাড়ি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ঘাট এলাকায় কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা। লঞ্চে ভীড় বেশি থাকায় যাত্রী নিয়ন্ত্রনে পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার সদস্যদের তৎপরতা ছিলো। এদিকে দক্ষিনাঞ্চলের সকল জেলা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনের সাথে সাথে এ রুটের ফেরি, লঞ্চ, স্পীডবোটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁঠালবাড়ির ১ নং ফেরি ঘাটের র্যাম তলিয়ে গেছে। বিকেল পর্যন্ত র্যাম উঁচু করার কাজ চলছিলো। নদীতে ¯্রােতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌযানগুলো সতর্কতার সাথে চলাচল করছে। দুপুর ১ টার দিক বৈরি আবহাওয়ার কারণে দূর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে দুপুর ২ টার দিক লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল শুরু হয়। বুধবার বিকেলে আবহাওয়ার উন্নতি হলে যাত্রী চাপ বৃদ্ধি পায়। বিআইডব্লিউটিএর মাওয়া নৌ বন্দরের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল যাত্রী চাপ কম থাকায় আজ লঞ্চে যাত্রী চাপ বেশি। যাত্রী ধারণ ক্ষমতা দেখে নয় সহনীয় পর্যায়ে লোড করা হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় ও ওভারলোড ঠেকাতে পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার যৌথভাবে কাজ করছে। কোন অবস্থাতেই ওভারলোড ও বাড়তি ভাড়া আদায় সহ্য করা হবে না। আর আজও বৈরি আবহাওয়ার কারণে কিছু সময় লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ ছিল।’
×