ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

গৃহহীনদের আবাসন

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২১ জুন ২০১৮

গৃহহীনদের আবাসন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ১৯ মে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত কক্সবাজার জেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শনে যান। ঘূর্ণিঝড়ে সেখানে হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। তিনি অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং সকল গৃহহীন পরিবারসমূহকে পুনর্বাসনের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি পর্য়ায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ১,৪০,১২৮টি গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। তন্মধ্যে আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৪,২১৫টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়। প্রকল্পের সাফল্য ও ধারাবাহিকতায় ২০১০-২০১৭ (সংশোধিত) মেয়াদে ৫০,০০০ গৃহহীন, ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কর্মকা-ের মূল স্রোতধারার সঙ্গে আশ্রয়হীন অসহায় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পরিচালিত হচ্ছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প। দেশের মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা বাসস্থানের সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের দুই লাখ ৮০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করার কাজ চলছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮-৯% মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। সমাজের দরিদ্র এসব মানুষ কোন উন্নয়ন পরিকল্পনার স্বপ্নও দেখতে পারে না। এরূপ অবস্থায় প্রতি বছরই কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। আর এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে ওই সকল দরিদ্র ব্যক্তির আয়ের ওপর। বিশেষ করে তাদের বসবাসের ঘরবাড়ি অত্যন্ত দুর্বল ও জরাজীর্ণ হওয়ায় সামান্য আঘাতে মারাত্মক ক্ষতি হয়, যা তাদের পক্ষে মেরামত করা অত্যন্ত কষ্টকর। ফলে তাদের দৈনিক আয়ের একটি অংশ প্রতিবছরই ব্যয় করতে হয় ঘর মেরামত বা নতুন করে ঘর বাঁধার জন্য। সীমিত আয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করাই যেখানে চ্যালেঞ্জ, সেখানে ঘর নির্মাণের জন্য প্রতিবছর অর্থ ব্যয়ের ফলে সমাজের এ অংশটি দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠতে পারে না। একটি স্থায়ী ও টেকসই ঘর একটি পরিবারকে দারিদ্র্য সীমার ওপরে উঠাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা টেকসই ঘর থাকলে তাকে বাসস্থানের জন্য কোন অর্থ ব্যয় করতে হয় না ফলে তারা সঞ্চয় করতে পারবেন এবং ক্রমান্বয়ে স্বাবলম্বী হন। সমাজের এসব দরিদ্র ও হতদরিদ্র অসহায় দুস্থ মানুষকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের করে অর্থনীতির মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত দারিদ্র্য বিমোচন মডেল ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের আশ্রয়ণ ও জীবিকার সংস্থান করা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে এদের পুনর্বাসন করা হয়। গৃহহীন লোকদের স্বাবলম্বী করে তুলতে আশ্রয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের জীবন অর্থবহ করতে সরকার এই প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমুহ (এসডিজি) অর্জনের জন্য এই প্রকল্প ভবিষ্যতে দারিদ্র্য নিরসনে আরও জোরদার ভূমিকা পালন করবে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর করে দেয়া হয় এবং ২০ হাজার পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়। পরবর্তী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক লাখ ১০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর করে দেয়া এবং ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যারাকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। বর্তমানে যার সামান্য জমি আছে কিন্তু ঘর করার সামর্থ্য নেই, সেসব পরিবারকে তাদের নিজ জমিতে এক লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচীর আওতায় এক লাখ ৭০ হাজার পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর তৈরি করে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল এবং অসহায় মানুষদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার ৫ ইউনিটের পাকা ব্যারাক ও দেশের অন্যান্য এলাকায় ৫ ইউনিটের সেমিপাকা ব্যারাক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নদীভাঙনপ্রবণ এলাকায় সহজে স্থানান্তরযোগ্য সিআই সিট দিয়ে ব্যারাক নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই সময়ে সরকার ৭ হাজার ৫৪৩টি ব্যারাক হাউস নির্মাণ করে এবং ৩৯ হাজার ৪২৫টি পরিবার পুনর্বাসন শেষ করে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের অধীনে মোট ৮০২টি গ্রাম বিদ্যুত সংযোগ পেয়েছে এবং প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৪ লাখ গাছ লাগানো হয়েছে। এ প্রকল্পের উপকারভোগীদের বিভিন্ন ছোটোখাটো ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থানে সহায়তা করা হচ্ছে। এ যাবত ১,২২,০০০ পরিবারের মাঝে ৯৭ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পের উপকারভোগীদের নিয়ে গঠিত সমবায় সমিতির মাধ্যমে এ ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা নিয়ে স্বাবলম্বী করে পুনর্বাসিত লোকদের মূল ধারায় নিয়ে আসতে প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় সরকার বিভাগ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আয়বর্ধক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানব সম্পদে উন্নীত করতে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে পুনর্বাসিত পরিবারের বয়স্ক নারী ও পুরুষদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পুনর্বাসিত পরিবারসমূহের জন্য কমিউনিটি সেন্টার, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, নিরাপদ পানির ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক এলাকাভিত্তিক লাগসই প্রশিক্ষণ, মসজিদ নির্মাণ, কবরস্থান, পুকুর ও গবাদি পশু পালনের জন্য সাধারণ জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আয়বর্ধক কার্যক্রমের মাধ্যমে জীবিকায়ন নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি তারা সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপনের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। . গুচ্ছগ্রাম/আদর্শগ্রাম প্রকল্প বর্তমান সরকার দেশের সকল মানুষের জন্য নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সবার জন্য মাথাগোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করতে হবে । ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পূর্বে দেশের একটি লোকও যেন গৃহহীন না থাকে, সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং নদীভাঙনের ফলে দুর্গত পরিবারগুলোকে সরকারী খাস জমিতে সৃজিত ইকোভিলেজে বসতভিটাসহ স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে এবং বিধবাদের ক্ষেত্রে একক নামে কবুলিয়াত প্রদান করার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও নারী অধিকার নিশ্চিত করতে এই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প। গুচ্ছগ্রামে আবাসন ব্যবস্থার শুরুটা ছিল স্বাধীনতার পরপরই। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলার রামগতি থানা পরিদর্শনকালে নদীভাঙন, দুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দুর্বিষহ জীবনযাপনের চিত্র দেখে ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব পরিবারকে খাস জমিতে পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায় চারটি গুচ্ছগ্রামে এক হাজার ৪৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ১০ বছর মেয়াদে গুচ্ছগ্রাম (পরবর্তীকালে তা আদর্শগ্রাম নামকরণ হয়) প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে আদর্শগ্রাম প্রকল্প-২ নামে ১৯৯৮ সালের জুলাই থেকে আবারও প্রকল্পটি সচল করা হয়। সেটা ডিসেম্বর ২০০৮ সালে সমাপ্ত হয়। আদর্শগ্রাম প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচীর আওতায় জেডিসিএফের অর্থায়নে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ভূমি মন্ত্রণালয়াধীন এ প্রকল্পের যাত্রা নতুনভাবে শুরু হয়। প্রকল্পের পূর্ণনাম ক্লাইমেট ভিক্টিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট। সরকারী খাস জমিতে ২৬২টি গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১০,৬৫০টি ভূমিহীন, গৃহহীন, ঠিকানাহীন, নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এ প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প, যা ২০১৫ সালে সমাপ্ত হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ওই তিন প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে মোট ৮১ হাজার ৭৩৫টি পরিবারকে এক হাজার ৭৬১টি গ্রামের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় দেশের তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া বাকি সব জেলায় ক্লাইমেট ভিক্টিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রকল্প নামে একই গুচ্ছগ্রাম-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। মূলত ১০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েই এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই সংখ্যা ৪০ হাজার বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় ৯৪১ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ২য় পর্যায় প্রকল্পটি ১ অক্টোবর ২০১৫ সালে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল । প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ২ হাজার ৫শ’ গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে ৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুনে। সরকারের লক্ষ্য ভূমিহীন ও আশ্রয়হীন সবাইকে আশ্রয় বা আবাসনের ব্যবস্থা করে দেশে থেকে দারিদ্র্য নিরসন করা। এ জন্য যেখানেই খাস জমি পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই নির্মাণ করা হচ্ছে গুচ্ছগ্রাম। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে এসডিজি অর্জন করবে। সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এর আগে বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করে পুরস্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্ববাসীর নিকট বিস্ময়। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ এক অনুকরণীয় নাম। এতদিন সরকারের নীতি নির্ধারকদের মুখ থেকে কথাটি শোনা গেলেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলেছে বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে। সংস্থাটি বলেছে, সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার তিনটি শর্ত পূরণ করে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। লেখক : শিক্ষাবিদ, গবেষক
×