ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদের ছুটির পর বেড়েছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম

প্রকাশিত: ০১:৪৯, ২২ জুন ২০১৮

ঈদের ছুটির পর বেড়েছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদের ছুটির পর রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষ ফিরে এসেছে ঢাকায়। এ কারণে শুক্রবার সকাল থেকেই ভিড় ছিল কাঁচাপণ্যের বাজারগুলোতে। মুদি দোকানগুলোও পুরোদমে চালু হয়ে গেছে। চলতি সপ্তায় কমেছে মুরগি আদার দাম। তবে আলু ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। চড়া সবজির দাম। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, আটা ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছ ও মাংসের বাজার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরার বাজার, ফকিরাপুল বাজার, কাপ্তান বাজার, ফার্মগেট কাঁচা বাজার ও মিরপুর সিটি কর্পোরেশন বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা কমে আদা ৭০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আলুর দাম। ৩-৫ টাকা বেড়ে ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি গোল আলু। এছাড়া আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর বাজারে আবারে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। দু’একটি পণ্য ছাড়া সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম এখন স্বাভাবিক। তবে সবজি বিক্রেতাদের মতে, সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে শাক-সবজির দামও কমে আসবে। ঈদের ছুটির পর বাজার এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ক্রেতারা বলছেন, মুরগির দামের চড়া ভাবটা আর নেই। দাম পড়তির দিকে রয়েছে। তবে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়ে গেছে। এটা বাজারে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। এদিকে, কাপ্তান বাজারে জাত ও মানভেদে করলা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০, কচুরমুখি ৬০, শসা ৫০, ঢেড়স ৫০, পেঁপে ৪৫, টমেটো ৬০-৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০ টাকা, জালি কুমড়ার প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দু’দিন আগেও এসব সবজি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কম দামে বিক্রি হয়েছে। ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিল জনকণ্ঠকে বলেন, এখন পাইকারি বাজারে সবজি আসছে কম। সেখানে সবজি কম থাকায় দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনে, বেশি দামে বিক্রি করছি। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম বেশি নেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, আশা করা যায়, দু’এক দিনের মধ্যে সবজির দাম কমবে। পাইকারি বাজারে বেপারী ও মহাজনরা আড়তগুলো চালু করেছেন। এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ৪০-৪৫, রসুন ৫০-৯০, চিনি ৫৬-৬০, ডিম ২২-২৬, সরু চাল মিনিকেট ও নাজির ৫৮-৬৬, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা ৪৮-৫৪, মোটা স্বর্না, ইরি ও চায়না ৩৮-৪২, আটা ২৬-৩৫, ভোজ্যতেল সয়াবিন খোলা ৮৫-৮৮, সয়াবিন বোতল ৫ লিটার ৪৮০-৫২০, পামওয়েল লুজ ৭০-৭২, পামওয়েল সুপার ৭৩-৭৫, মসুড ডাল জাত ও মানভেদে ৫৫-১১০, ছোলা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাওরান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী গনিমিয়া জানান, বেশির ভাগ মুদি পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। প্রতিকেজি রুই মাছ ২০০-৩০০, প্রতিপিস ইলিশ ৫০০-১৫০০, চিংড়ি ৫০০-১২০০, পাবদা ৫০০-৬০০, সরপুটি ২৫০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৭০-৫০০, খাসি ৭০০-৮০০, দেশী মুরগি জোরা ৯০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফকিরাপুল বাজারের মাছ বিক্রেতা বশির উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, এবছর শুরু থেকেই মাছের দাম বেশি। এখন বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। কিন্তু পাইকারি বাজারে মাছের দাম কমছে না। আর এ কারণে খুচরা বাজারেও বেশি দাম দিয়ে ক্রেতাদের মাছ কিনতে হচ্ছে।
×