ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এমবাপের স্বপ্নপূরণ

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৩ জুন ২০১৮

 এমবাপের স্বপ্নপূরণ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যে কোন ফুটবলারের জন্যই বিশ্বকাপ স্বপ্নের। তেমনি কিলিয়ান এমবাপের জন্যও। ফরাসী তারকার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এবার পূরণ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তরুণ প্রতিভাবান এই ফুটবলার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলে এসেছি যে, বিশ্বকাপে খেলাটা যে কোন খেলোয়াড়ের জন্যই স্বপ্নের। আমার জন্যও ঠিক তেমনটাই। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলাটা আমার স্বপ্ন সত্য হওয়ার মতোই ব্যাপার। আমি মনে করি এমন দিন বারবার আসবে।’ অভিষেক বিশ্বকাপেই নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথম ম্যাচে গোলের দেখা না পেলেও বৃহস্পতিবার পেরুর বিপক্ষেই জ্বলে উঠেছেন তরুণ প্রতিভাবান এই ফুটবলার। দলকে দারুণ এক গোলও উপহার দিয়েছেন তিনি। পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে গোল করেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর এই ফরাসী স্ট্রাইকার। এ্যান্থনি গ্রিজম্যানের কাছ থেকে বল পেয়ে অলিভিয়ের জিরুড অসাধারণ ভঙ্গিমায় বলটি বানিয়ে দেন। সেই বলটিকেই খুব কাছ থেকে আলতো ছোঁয়ায় পেরুর জালে পাঠিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। সেই সঙ্গে নতুন এক ইতিহাসও গড়েন তরুণ প্রতিভাবান এই ফুটবলার। ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন কিলিয়ান এমবাপে। পেরুর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল করে আনন্দে-উদ্বেলিত এমবাপে। তবে তরুণ প্রতিভাবান এই ফুটবলার এখানেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। এ প্রসঙ্গে ম্যাচের শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে গোল করাটাও স্বপ্নের মতো ব্যাপার। কিন্তু আমি মনে করি আরও গোল করতে পারব।’ শুধু গোল করেই নিজের ভূমিকা প্রদর্শন করেননি এমবাপে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের রক্ষণভাগেও ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন ফরাসী স্ট্রাইকার। এ প্রসঙ্গে নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে ১৯ বছরের তরুণ এমবাপে বলেন, ‘যদি দলের প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তবে আমি এটাকে সে রকম কিছু বলতে চাই না বরং দলের প্রয়োজনে ভূমিকা রাখতে পেরেছি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’ ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে পেরুও। পুরো ম্যাচেই ড্রয়ের চেষ্টা করেছে তারা। আর পেরুর বিপক্ষে অসাধারণ এক গোল করে দলকে জয় উপহার দেয়ার নায়ক এমবাপেকে আলাদাভাবে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমও। তিনি বলেন, ‘সাবাশ, সাবাশ। তার পারফর্মেন্সে আমি সত্যিই খুব খুশি। সে এখনও তরুণ, অথচ ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে গোল করে ফেলেছে। তার গতি, তার সক্ষমতা দেখাতে সে সক্ষম হয়েছে। দলকেও সহায়তা করেছে সে। তার পারফর্মেন্সে আমি খুশি। সে যা করেছে তাতে আমি সত্যিই খুব খুশি।’ রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই এবার ফেবারিটের তকমাটা গায়ে মাখানো ছিল ফ্রান্সের। মূল মঞ্চেও দেখিয়েছে নিজেদের পারফর্মেন্সের ঝলক। টানা দুই ম্যাচ জিতে ‘সি’ গ্রুপ থেকে সবার আগেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। দুই ম্যাচ খেলে সমান একটি করে জয় আর ড্রয়ের সৌজন্যে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ডেনমার্ক। তবে ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ারও সুযোগ রয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর টিকেট কাটার।
×