ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবশেষে ঐতিহাসিক শান্তি ঘোষণায় ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ১০ জুলাই ২০১৮

অবশেষে ঐতিহাসিক শান্তি ঘোষণায় ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক ॥ অবশেষে ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়ার সীমান্তে উভয়পক্ষের মধ্যকার যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান ঘটতে চলেছে। আফ্রিকান দুই দেশের নেতারা এ সংক্রান্ত একটা ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন। ১৯৯৮-২০০০ সালে এ দুইদেশের মধ্যে সৃষ্ট যুদ্ধ অবসানে একটি শান্তি চুক্তি হলেও সেটি পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। যার কারণে এ অঞ্চলে এতদিন পর্যন্ত যুদ্ধাপরিস্থিতি জারি ছিল। দুই দেশের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০০ সালের জুন পর্যন্ত দুইদেশের মধ্যে সংঘটিত এ যুদ্ধ ইথিওপিয়া–ইরিত্রিয়া যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দুইটি দেশ ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া এই যুদ্ধে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে এবং উভয়পক্ষের কয়েক হাজার সৈন্য হতাহত হয়। দ্য হেগে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক কমিশনের রায় অনুযায়ী, ইরিত্রিয়া আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছিল এবং ইথিওপিয়া আক্রমণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধটি আরম্ভ করেছিল। যুদ্ধের শেষদিকে সমস্ত বিরোধপূর্ণ অঞ্চল ইথিওপিয়ার দখলে চলে যায় এবং ইথিওপীয় বাহিনী ইরিত্রিয়ার অভ্যন্তরে অগ্রসর হয়। যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর জাতিসংঘ কর্তৃক বাদমেতে প্রতিষ্ঠিত ইথিওপিয়া–ইরিত্রিয়া সীমান্ত কমিশন রায় দেয় যে, বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটি ইরিত্রিয়ার। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাদমে শহরসহ এর নিকটবর্তী অঞ্চল ইথিওপিয়ার দখলে রয়েছে। অবশেষে দুই দেশের নেতারা আগের চুক্তি পুনর্বাস্তবায়নের জন্য একমত হয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন। সোমবার ইরিত্রিয়ার রাজধানী আসমারাতে দুই দেশের মধ্যকার নেতারা এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন। এ চুক্তির মাধ্যমে বাদমে শহর নিয়ে শীঘ্রই একটি সমাধানে পৌঁছবেন বলে তারা জানান। এ বৈঠকের মাধ্যমে গত দুই দশকে এ প্রথম মিলিত হলেন ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফেওয়েরকি এবং ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। মূলত আবি আহমেদ গত এপ্রিলে ইথিওপিয়ার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সাথে শান্তি স্থাপনের কার্যকরি উদ্যোগ নেন। ক্ষমতা গ্রহণ করেই তিনি দেশটির জরুরী অবস্থা তুলে নেন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন।
×