ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলা লিপির উন্নয়নে এনবিজিপি’র সঙ্গে বাংলাদেশী গবেষকদের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ০১:৪২, ১০ জুলাই ২০১৮

বাংলা লিপির উন্নয়নে এনবিজিপি’র সঙ্গে বাংলাদেশী গবেষকদের মতবিনিময় সভা

স্টাফ রিপোর্টার॥ বাংলা লিপি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতামতকে অনেক ক্ষেত্রেই গৌণভাবে দেখেছে ইউনিকোড। ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অক্ষর ব্যবহারে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হই। বাংলা ভাষার ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে বাংলা একাডেমি এবং আইসিএনএন-এর যৌথ উদ্যোগে বাংলা ভাষা অঞ্চলের জন্য বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে নিও ব্রাক্ষ্মী জেনারেমন প্যানেলের সঙ্গে বাংলাদেশের গবেষকদের দিনব্যাপী এক পারস্পরিক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার, অধ্যাপক ড. উদয় নারায়ণ সিংহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলী, অধ্যাপক সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান, সমীরণ গুপ্ত, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তফা কামাল, অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান খান, ড. স্বরোচিষ সরকার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, গবেষক রাজীব চক্রবর্তী এবং থাইল্যান্ডের পিটিনান কুয়ারমর্নপাতানাসহ বিষয়সংশ্লিষ্ট গবেষকবৃন্দ। কর্মশালার ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নিও-ব্রাহ্মী জেনারেশন প্যানেলের কো-চেয়ার সমীরণ গুপ্ত। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলাদেশের বাঙালি বুকের রক্ত দিয়েছে। বাংলা ভাষার চর্চা ও বিকাশেও আমাদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। মুনীর অপটিমার মাধ্যমে শহিদ মুনীর চৌধুরী বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন তা অবিস্মরণীয়। বর্তমানে বাংলা লিপির উন্নয়নে কাজ করতে গেলে এই পটভূমিকে আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য ইউনিকোড বাংলা লিপি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতামতকে অনেক ক্ষেত্রেই গৌণভাবে দেখেছে ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অক্ষর ব্যবহারে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হই। মনে রাখতে হবে বাংলা ভাষার ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত ব্যবহারকে যুগোপযোগী এবং সহজসাধ্য করতে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ভাষাবিজ্ঞানীসহ সাধারণ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামতকে বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে বিবেচনায় রাখতে হবে। এই কর্মশালা ইউনিকোড বাংলা লিপি উন্নয়ন এবং সার্বিকভাবে বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত ব্যবহারে আধুনিকায়ন ঘটাতে সহায়তা করবে।
×