স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাংবিধানিক অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১১ দিন ধরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। ৩০ জুনের পর থেকে পরিবারের সদস্যরাও দেখা করতে পারছেন না। বিএনপি নেতারাতো পারছেনই না, এমনকি আইনজীবী ও তার ব্যাক্তিগত চিকিৎসকরাও দেখা করতে পারছেন না। এ অবস্থায় আমরা আশঙ্কা করছি তাকে রাজনীতি, নির্বাচন এবং পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক। তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলছি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আলাদা আদালত বানিয়ে তাকে দ্রুত সাজা দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই তাঁকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই তাদের পথের কাটা দূর হবে। তিনি বলেন, জেলকোডের বিধানমতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আত্মীয় স্বজনদের দেখা করতে না দেয়া তার এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দের প্রতি মানবাধিকার লংঘন।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেশে সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল। আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হয়েছিল ৪টি মামলা। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নামে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আর খালেদা জিয়ার মামলাগুলোতো প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং নতুন করে আরও অনেক মামলা দিয়েছে এই সরকার। বিএনপি নেতাকর্মীদের পুরানো মামলায় নতুন করে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: