ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আধিপত্য বিস্তার ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন ফরহাদ

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ১৪ জুলাই ২০১৮

আধিপত্য বিস্তার ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন ফরহাদ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী আধিপত্য বিস্তার, অটোরিকশাস্ট্যান্ড ও ডিস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ আদায় এবং সেই অর্থ ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৫ জুন রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ১ নম্বর লেন সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে আসা বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ফরহাদ হত্যায় জড়িতদের ধরতে গুলশান ও শাহআলী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের একটি দল। অভিযানে ফরহাদ হত্যা মামলার মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি ম্যাগাজিনসহ ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বাড্ডার শীর্ষ সন্ত্রাসী রমজান, মেহেদী ওরফে কলিন্স ও আশিকের পরিকল্পনায় খুন হন ফরহাদ। তারা সবাই এখন বিদেশে পলাতক। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন হলেন- জাকির হোসেন, আরিফ মিয়া, আবুল কালাম আজাদ ওরফে অনির, বদরুল হুদা ওরফে সৌরভ ও মো. বিল্লাল হোসেন ওরফে রনি। আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ আলী হত্যার ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ মামলটির তদন্ত শুরু করে। গত ১০ জুলাই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জহুরুল ইসলাম ওরফে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে ওই হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেয়া তথ্যে উঠে আসে ঘটনার নেপথ্যে জড়িতদের নাম। এক প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাড্ডার শীর্ষ সন্ত্রাসী রমজান ও আশিক বর্তমানে ভারত এবং মেহেদী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ফরহাদ খুনের পর আরও এক ব্যবসায়ীকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন রমজান। তবে ডিবি পুলিশের তৎপরতা ও অভিযানের কারণে তা ভেস্তে যায়।’ ফরহাদ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত নুর ইসলাম ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদীর সামরিক কমান্ডার অমিত গত ৪ জুলাই মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
×