স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রশমনে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কারণ তারাই এ সংক্রান্ত চিন্তা-ধারণার প্রসারে পালন করেন মূখ্য ভূমিকা। আমাদের সমাজে শিক্ষার বিস্তার ও ইতিবাচক পরির্বতন আনতে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এমন পরিস্থিতি এড়াতে তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বিল্ডিং এ পিসফুল এন্ড টলারেন্ট সোসাইটি’ র্শীষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল ১৯ এ কর্মশালার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক তাহমিনা রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও ধর্মীয় তাত্ত্বিক উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধীকার সম্পর্কিত আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামি ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম বলেন, একটি সহনশীল সমাজ বিনির্মাণে এই ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা অনেক গুরুত্ব বহন করে। সমাজ থেকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রশমনে আমরা ধর্মীয় নেতাদের কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিয়েছি এবং এবিষয়ে ইসলামি ফাউন্ডেশন আরও বিস্তৃত পরিসরে কাজ করবে ; যা মতপপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত করতে সহায়ক হবে। সভাপতির বক্তব্যে তাহমিনা রহমান বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রশমনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সংক্রান্ত চিন্তা-ধারণার প্রসারে তারা মূখ্য ভূমিকা পালন করেন । পাশাপাশি সমাজে শিক্ষার বিস্তার ও ইতিবাচক পরির্বতন আনতেও তাদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।