ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশিষ্টজনদের অভিমত

‘মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উন্নয়ন থামানো যাবে না’

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১৫ জুলাই ২০১৮

 ‘মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উন্নয়ন থামানো যাবে না’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভবিষ্যতেও তা চলমান থাকবে। উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উন্নয়ন থামানো যাবে না এবং কোন লাভও হবে না বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। তাদের মতে, বর্তমানে সরকার আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক উন্নয়নসহ বৈদেশিক ভাবমূর্তিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিদ্যমান থাকার কারণেই এত উন্নয়ন হয়েছে বলেও মনে করেন। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর গবর্নেন্স এ্যান্ড ডেমোক্র্যাসির উদ্যোগে ‘উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা এবং জনবিভ্রান্তি’ শীর্ষক একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান, সম্মিলিত সাংকৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সিআইপিএফএ এর সম্মানীয় ফেলো মাসুদ আহমেদ, মোহাম্মদপুর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কলেজ-এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ফরহাদ হোসাইন, লেখক ও গবেষক রুদ্র সাইফুল। ওয়ালিউর রহমান তার মূল বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন ও বৈদেশিক ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য অনেক স্বীকৃতি ও সম্মানের অধিকারী হয়েছে। এরপরেও কিছু মহল বাংলাদেশের সুনাম সুখ্যাতিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত হানার চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বদনাম করতে চাচ্ছে। সম্প্রতি সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী রিয়াজের করা মন্তব্য নিয়েও কথা বলেন প্রেস ব্রিফিংয়ে। সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, দেশের বদনাম করতে গিয়ে কেউ কেউ এখন দেশকে রাহুগ্রস্থ ও ‘হাইব্রিড রেজিম’ বলে আখ্যা দিয়েছে। আমরা এসকল বক্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। বিগত জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হয়। জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকারই ক্ষমতা অর্জন করে। সরকার একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ বৈধ, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে জয়লাভ করে এবং সরকার গঠন করে যাকে ‘রেজিম’ বলে আখ্যা দেয়া যায় না। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তিনি। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। যার কারণে দেশে এত উন্নয়ন হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, সার্বিকভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অনেকেই মানতে পারছেন না। আর তাই অনেকেই এই উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। সম্মিলিত সাংকৃতিক জোট-এর সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিশ্বে আলোচিত হচ্ছে। এরপরও যারা সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা মূলত মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ফরহাদ হোসাইন বলেন, দেশকে রাহুগ্রস্থ ও রেজিম বলে আখ্যা দেয়ার বক্তব্য মূলত পূর্বপরিকল্পিত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এমন বক্তব্য আসছে। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন বক্তারা। বক্তারা জানান, সাক্ষরতা হারে এগিয়ে গেছে দেশ। বিদ্যুতের উন্নয়ন হচ্ছে। এক সময় অন্ধকারে থাকা পরিবারগুলোতে এখন বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যেকের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। গ্রামে-গঞ্জে থেকে বিভিন্ন সেবা পাচ্ছে। টাকা পাঠালে মুহূর্তেই সে টাকা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ওঠানো যাচ্ছে। এ জন্য সময় ক্ষেপণ হচ্ছে না। এসবই বর্তমান সরকারের উন্নয়ন। শেখ হাসিনার সরকার জনগণকে নিয়ে ভাবে আর সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বলেও জানান বক্তারা। প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষক, গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
×