ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

এইচএসসির পর উচ্চশিক্ষা

এবার ভর্তির প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১৫ জুলাই ২০১৮

এবার ভর্তির প্রতিযোগিতা

শীঘ্রই প্রকাশিত হবে এইচএসসি পরীক্ষার ফল। এরপরই শুরু হবে ভর্তির প্রতিযোগিতা। আবারও নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। হ্যাঁ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধের জন্য। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ইচ্ছা কার না থাকে? এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকে নানা ভীতি। কী ধরনের প্রশ্ন হবে, কিভাবে উত্তর দেব, কিভাবে নিজেকে তৈরি করব- এসব চিন্তা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগে ভর্তি হওয়া আরেফিন জাহান এবং আইন বিভাগে ভর্তি হওয়া কামরুল বলেন, কিভাবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। আরেফিন বলেন, গ্রামের বাড়ির বড় ভাইয়া ও আপুদের দেখে এবং আম্মুর দিকনির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দানা বেঁধেছিল সেই অষ্টম শ্রেণী থেকেই। এই লক্ষ্যে আমি নিয়মিত আমার ক্লাসের বই পড়ার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানের বই ও জাতীয় দৈনিকগুলো পড়তাম। একদিকে জানার আগ্রহ, অন্যদিকে নিজেকে তৈরি করার জন্য। কামরুল বলেন, আমি এসএসসি পরীক্ষার পরে আমার খালাত বোনের সঙ্গে একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে এসেছিলাম তখনই এখানে পড়ার স্বপ্ন তৈরি হয়। তারা উভয়ে বলেন, জ্ঞানের বিষয় কিন্তু চর্চানির্ভর। প্রশ্ন ছিল ইংরেজীর প্রস্তুতি কিভাবে নিয়েছিলেন? উত্তরে তারা বলেন, ‘ইংরেজী আন্তর্জাতিক ভাষা। ইংরেজীকে বাদ দিয়ে চলা যায় না। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ইংরেজী ও আইনই নয় অন্য যে কোন বিষয়ে পড়ার জন্য ইংরেজীতে ভাল নম্বর পাওয়ার বিকল্প নেই। এজন্য ইংরেজী ব্যাকরণের প্রস্তুতি ভালভাবে নিয়েছিলাম।’ নিয়মিত ইংরেজী পত্রিকা পড়াটা জরুরী বলে মনে করেন তারা। ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজী ব্যাকরণের জন্য অনেক বই না দেখে একটি ভালো বই অনুসরণ করা উচিত বলে জানান তারা। প্রতিদিন ইংরেজী ব্যাকরণ চর্চা করা দরকার বলেও মনে করেন মেধাবী এই দুই শিক্ষার্থী। আরেফিন বলেন, অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ ডিক্সনারি থেকে ব্যাকরণের নিয়মগুলো দেখেছি। বার বার পড়তাম ইংরেজীর মূল বই।’ বাংলা বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আরেফিন ও কামরুল উভয়ই বলেন, বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণীর বোর্ডের বইয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম। খুব ভালভাবে পড়েছি বাংলা মূল বই। ভর্তিযুদ্ধ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল কতটা গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রশ্নে তাঁরা বলেন, নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। তার মানে কিন্তু এমনটা নয়, জিপিএ-৫ এর ছড়াছড়িতে আপনি ৫ পয়েন্টের চেয়ে কম পেয়েছেন বলে টিকতে পারবেন না। একটু জোর দিয়েই কামরুল বলেন, এ ক্ষেত্রে অনুশীলন ভর্তিযুদ্ধের বৈতরণী পার হতে খুবই সহায়তা করবে। নিজের যোগ্যতা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ তৈরি করতে হয়। তবে কোচিং সেন্টারগুলো ভর্তির প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পদ্ধতি কেমন হবে, সে বিষয়ে ধারণা দিয়ে থাকে। পড়াশোনা করতে হবে নিজেকেই। কেউ পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেবে না। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুকদের কিভাবে প্রস্তুতি নেয়া উচিত এ প্রশ্ন করলে তাঁরা বলেন, ফলাফল নিয়ে চিন্তা না করে কঠোর অনুশীলন করতে হবে। ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
×