অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সৌরশক্তি ও কৃষি গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিদেশী বিনিয়োগ ছাড়াও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। সবমিলিয়ে আরও বড় পরিসরে সমন্বিত আঞ্চলিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘এ ক্লাইমেট রেসিলেন্ট সাউথ এশিয়া: টার্নিং ক্লাইমেট স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট অপোরচুনিটি ইনটু রিয়েলিটি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও সার্ক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ভৌগোলিক কারণেই পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা যেমন সম্ভব হচ্ছে না তেমনি বাংলাদেশেও। আমরা কেউ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করতে পারছি না।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমাদের আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ দরকার। ক্ষতি ঠেকানোর জন্য বাঁধ সংস্কারসহ আমরা নানা ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। দেশে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সৌরশক্তি, সোলার হোম সিস্টেম, উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষি গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বলেও জানান মন্ত্রী। এক্ষেত্রে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রাইভেট পার্টিনারশিপের (পিপিপি) উপরও জোর দেন মন্ত্রী।
সার্ক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোয়ান এডিরিসং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি ও দেশীয় শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক দেশে বন্যা হলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ছে অন্য দেশে। তবে ক্ষরার ক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টোচিত্র। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আঞ্চলিক সমন্বিত উদ্যোগ আরও বাড়ানো দরকার।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের এ্যাকশন প্ল্যান দরকার। এক্ষেত্রে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। ঢাকাকে আমরা স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
তিনটি সেশনে বিভক্ত দিনব্যাপী এই সেমিনারে কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।