ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পানামা পেপার্স ॥ হাসান মাহমুদ রাজাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ১৬ জুলাই ২০১৮

পানামা পেপার্স ॥  হাসান মাহমুদ রাজাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নাম আসা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাকে মুদ্রা পাচারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার সকাল ৯টায় তিনি দুদক প্রধান কার্যালয়ে এলে আধা ঘণ্টা পর কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, পানামা পেপার্সে যাদের নাম এসেছে, তাদের মধ্যে ইউনাইটেড গ্রুপের আরও তিনজনকে সোমবার জিজ্ঞাসবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। তারা হলেন কোম্পানির তিন পরিচালক খোন্দকার মঈনুল আহসান শামীম, আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আখতার মাহমুদ। গত ৮ জুলাই দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা আখতার হামিদ ভূঞার স্বাক্ষরে এই চার জনের পাশাপাশি প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা তিন ব্যবসায়ীকে তলব করে আলাদা নোটিস পাঠানো হয়। প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা তিনজন হলেন- ডব্লিউএমভি লিমিটেডের এরিক জোহান অ্যান্ডারস উইলসন, ইন্ট্রেপিড গ্রুপের ফারহান আকিবুর রহমান ও সেলকন শিপিং কোম্পানি মাহতাবা রহমান। তাদেরকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে বলে প্রনব ভট্টাচার্য্য জানান। দি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) ২০১৬ সালের মে মাসে পানামার ল’ ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার বিপুল সংখ্যক নথি ফাঁস করে দেয়, যা পানামা পেপারস নামে পরিচিতি পায়। বিশ্বের ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কোন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ছেন সেই তথ্য বেরিয়ে আসে সেসব নথি থেকে। পানামা পেপার্সে দেড় ডজনের মতো বাংলাদেশির নাম আসার পর দুদক তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানের ঘোষণা দেয়। সেজন্য তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দলও গঠন করা হয়। সেই অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগেই ২০১৭ সালের শেষ দিকে বারমুডার ল ফার্ম অ্যাপলবির গ্রাহকদের ১ কোটি ৩৪ লাখ নথি ফাঁস করে আইসিআইজে। সেখানে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ আরও দেড় ডজন বাংলাদেশির নাম আসে। মুদ্রাপাচার বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি (৮৯৭ কোটি ডলার) পাচার হয়; তার আগে ১০ বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার হারায় বাংলাদেশ।
×