ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘ফরাসীরা এখন সুখের সাগরে অবগাহন করছে’

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৭ জুলাই ২০১৮

  ‘ফরাসীরা এখন সুখের সাগরে অবগাহন  করছে’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘ফ্রান্স এখন সুখের সাগরে অবগাহন করছে। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতে ছিলাম ২০ বছর আগে। সেদিন যতটা না আনন্দ পেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি আনন্দ পেয়েছি এবার কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতে। আমাকে এই সীমাহীন আনন্দ দেয়ার জন্য শিষ্যরা অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাদের জানাচ্ছি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উষ্ণ ভালবাসা।’ বক্তার নাম দিদিয়ের দেশম। ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের গর্বিত হেড কোচ। ক্রোয়েশিয়াকে রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ফরাসীরা। এই দুটি বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন দেশম। প্রথমবার খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছিলেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপে, আর এবার কোচ হিসেবে। দেশম আরও বলেন, ‘আমি আমার জীবনে কখনও এমন বিশ্বকাপ দেখিনি বা খেলিনি। এই বিশ্বকাপে বড় দলগুলোর মোড়ক লেগে গিয়েছে এবং কাগজে-কলমে ছোট দলগুলো আসলেই দুর্দান্ত খেলেছে। এবারের আসরের রক্ষণাত্মক কৌশল প্রতিপক্ষ দলকে ক্ষতি করলেও খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।’ দেশম আরও যোগ করেন, ‘আমি ঠিক বলতে পারব না এটিই বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর আসর কি না। এবার অনেক গোল হয়েছে, অনেক রোমাঞ্চকর ম্যাচ হয়েছে। খেলার ধরন কিংবা কৌশলগত দিক থেকে রাশিয়া বিশ্বকাপ ছিল খুবই দুর্দান্ত।’ বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুজন ব্যক্তি আছেন, যারা ফুটবলার এবং কোচ ... উভয় ভূমিকাতেই বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার অবিশাস্য নজির গড়েছেন। তারা উভয়েই জীবন্ত কিংবদন্তি। এদের প্রথমজন হলেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো। দ্বিতীয়জন হলেন জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। এদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে এই সুমহান কীর্তি গড়েছেন। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং ৪৯ বছর বয়সী দিদিয়ের দেশম। এই প্রসঙ্গে তিনি বিনয়ের সঙ্গে বলেন, ‘জাগালো এবং বেকেনবাওয়ারের সঙ্গে একই কাতারে থাকতে পারাটা আমার জন্য খুবই আনন্দ এবং গর্বের বিষয়। তবে সত্যি কথা বলতে, এই দুই মহান কিংবদন্তির সঙ্গে তুলনা করলে আমি কিছুই নই! কারণ খেলোয়াড়ি জীবনে আমার তেমন কোন ঈর্ষণীয় সাফল্য ও পরিসংখ্যান নেই, তাদের মতো। তাছাড়া আমি তেমন কোন চিত্তাকর্ষক খেলোয়াড় ছিলাম না।’ রাশিয়া বিশ্বকাপেই ফ্রান্সের কোচদের ইতিহাসে দেশম সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচ হওয়ার কীর্তি গড়েন। এ পর্যন্ত অধীনে (২০১২ সাল থেকে) ৮৩ ম্যাচ খেলে ৫৩টিতেই জিতেছে ফ্রান্স। ১৫ ড্রয়ের পাশাপাশি হেরেছে ১৫ ম্যাচে। ভেঙ্গেছেন তার পূর্বসূরি রেমন্ড ডমেনেখের (২০০৪-২০১০) রেকর্ড। রেমন্ডের অধীনে ফ্রান্স ৭৯ ম্যাচে ৪১টিতে জিতেছে। ২৪টিতে ড্র করেছে, হেরেছে ১৪টিতে। জাতীয় দলের হয়ে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে (১৯৮৯-২০০০) ১০৩ ম্যাচে ৪ গোলের মালিক দেশমের জাতীয় দলের হয়ে এর আগের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দলকে ফাইনালে খেলানো।
×