ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণ ও হত্যার ৩০ বছর পর আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৯:২১, ১৭ জুলাই ২০১৮

ধর্ষণ ও হত্যার ৩০ বছর পর আসামি গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে এক শিশুকে (৮) ধর্ষণ ও হত্যার ৩০ বছর পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার সকালে ইন্ডিয়ানার ফোর্ট ওয়েইনে নিজ বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ। জানা যায়, ১৯৮৮ সালে এপ্রিল টিন্সলে নামের এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর এক পরিখার ভেতর তার লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ডিএনএ নমুনার সূত্র ধরে অবশেষে খুনি জন মিলারকে (৫৯) খুঁজে বের করতে সমর্থ হয় পুলিশ। ইন্ডিয়ানা রাজ্যের পুলিশ ও ফোর্ট ওয়েইন পুলিশ বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, রবিবার সকালে মিলারের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘পুলিশ কেন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়, সে ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণা আছে কি না?’ মিলার উত্তরে জানান, ‘এপ্রিল টিন্সলে।’ এরপর টিন্সলেকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেন তিনি। সেদিন অপহরণ করে গাড়িতে তুলে এপ্রিলকে ধর্ষণ করেন মিলার। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে তিনি জানান, ওর মারা যেতে ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। ফেলে দেওয়ার আগে এপ্রিলের লাশ একদিন নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন বলে জানান মিলার। পুলিশ জানায়, এপ্রিলের মৃত্যুর ১৬ বছর পর ২০০৪ সালে প্রথম তারা ওই ঘটনার সঙ্গে যোগ আছে এমন কিছু সূত্র উদ্ধারে সক্ষম হয়। সে সময় স্বঘোষিত এক খুনি ফোর্ট ওয়েইন শহরের চারটি আলাদা এলাকায় মেয়েদের সাইকেলের ঝুড়িতে কিছু চিরকুট, নিম্নাঙ্গের নগ্ন ছবি আর তাঁর ব্যবহৃত কনডম রেখে তাদের ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেন। চিরকুটে পুলিশকে বিদ্রুপ করেও নানা কথা লেখা ছিল। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) জানায়, সে সময় ব্যাগের ভেতরে পাওয়া দাগকাটা হলুদ কাগজে লেখা কিছু চিরকুট ও সম্ভাব্য খুনির নিম্নাঙ্গের ছবি এসব নিয়ে তদন্ত চলছিল। একটি চিরকুটে দেখা যায়, কোনো মেয়ের উদ্দেশে লেখা ‘হ্যালো বন্ধু, আমি তোমাকে নজরদারিতে রাখছি। আমি সেই লোক, যে এপ্রিল টিন্সলেকে ধর্ষণ ও খুন করেছিলাম। তুমি সম্ভবত আমার পরবর্তী শিকার।’ তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮৮-তে এপ্রিলের লাশ এবং ২০০৪-এ পাওয়া খুনির ব্যবহৃত কনডম থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএর নমুনা থেকে পরবর্তীকালে জিনগত তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে তদন্ত চালাতে চালাতে একপর্যায়ে নিশ্চিত হওয়া যায় যে খুনি জন মিলার অথবা তাঁর ভাই। সেই সূত্রে কয়েক দিন আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রথমে মিলারকে গোপনে অনুসরণ করে পুলিশ। ইন্ডিয়ানার গ্রাবিল শহরে তাঁর ভ্রমণ-গাড়িতে (পার্ক ট্রেইলার) ব্যবহৃত তিনটি কনডম থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে দেখা যায় এটি ২০০৪-এ পাওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে যায়। দীর্ঘ ৩০ বছর পরে ধরা পড়েন জন মিলার। রবিবার মিলারকে গ্রেফতার করে ফোর্ট ওয়েইনের অ্যালেন কাউন্টি কারাগারে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, শিশু নির্যাতন ও শিশুকে বন্দি রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
×