ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের বিতর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী

অভিঘাতের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চাই

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৮ জুলাই ২০১৮

অভিঘাতের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগীদের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) এবং সম্প্রতি এলডিসি উত্তীর্ণ দেশগুলোর প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, মূল ধারার টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এলডিসি থেকে উত্তরণকালীন দুর্বলতাগুলো নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সার্বিক দিক বিবেচনায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো অত্যন্ত দুর্বল। দেশগুলোকে পরিবেশ ও জলবায়ুর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ধরনের অভিঘাত ও সঙ্কটেরও সম্মুখীন হতে হয়। সম্পদের সদ্ব্যবহার ও কারিগরি দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি স্থাপন করে যে কোন অভিঘাতের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে সকল পর্যায়ের প্রচেষ্টাকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিতে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) অগ্রগতি বিষয়ক শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামের (হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম- এইচএলপিএফ) সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোমবার ওই বিতর্কে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আইএমএফ-এর একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ব ঋণ দ্রুত বাড়ছে, যার পরিমাণ বর্তমানে ১৬৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি সমগ্র বিশ্ব জিডিপির শতকরা ২২৫ ভাগ। এটি ২০০৯ সালের তুলনায় শতকরা ১২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের ক্রমবর্ধমান বিশ্ব ঋণের ফলে বেকারত্ব, পণ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ঘটতে পারে এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অন্যান্য প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মন্দা ফিরে আসতে পারে। মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক অতীতের তুলনায় উন্নত দেশগুলোও তাদের আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। বিশেষ করে কিছু উন্নত দেশের অভ্যন্তরীনমুখী ও সংরক্ষণশীল বাণিজ্য নীতির কারণে অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এখন হুমকির সম্মুখীন। বর্তমান বিশ্বয়ান বিরোধী চিন্তা-ভাবনার প্রসার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ হবে। এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ এবং উদীয়মান অর্থনীতি বিভিন্ন দিক থেকে বর্ধিত ঋণ বোঝা, কম পরিমাণ ওডিএ এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভবিষ্যত বাধাসহ অন্যান্য গুরুতর হুমকির মোকাবেলা করছে। এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে একটি সুন্দর বিশ্বের জন্য।
×