ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুদেরকে ভিক্ষা ও মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা : চুমকি

প্রকাশিত: ০১:০০, ১৮ জুলাই ২০১৮

শিশুদেরকে ভিক্ষা ও মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা :  চুমকি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি (এম.পি) বলেছেন, অনুসন্ধান করে দেখা গেছে একটি চক্র শিশুদেরকে ভিক্ষা বৃত্তি এবং মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মা ও শিশুদেরকে ভিক্ষা বৃত্তিতে ব্যবহার করে থাকে। এই ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন শিশু বান্ধব সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বুধবার সকালে রাজধানীর কাওরান বাজারস্থ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার অডিটরিয়ামে বেসরকারী সংস্থা এ্যাকশন ফর সোসাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার যৌথ আয়োজনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনঃ শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন উচ্চবৃত্ত ও মধ্যবৃত্ত পরিবারের মানুষজন শিশুর পুষ্টি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সর্বোপরি শিশুর সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে মোটামুটি সচেতন রয়েছে কিন্তু অসহায় দরিদ্র মানুষ জন এখনও শিশু অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। সরকার এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রায় ৮ লাখ হতঃদরিদ্র মা’কে ২৪ মাস প্রতি মাসে পাঁচশত টাকা হারে ভাতা প্রদান করছে এবং তাদেরকে প্রজনন স্বাস্থ্য, শিশুর পুষ্টি ও শিশু বিকাশ প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে এবং ২ কোটি মহিলাকে আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পথশিশুদের পুনর্বাসন কাজটি অত্যান্ত জটিল। অনেক সময় শিশুরাই রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াতে চায় কিন্তু সেল্টার হোমে আসতে চায় না। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক তাসলিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী এবং বেগম কামরুন্নাহার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তান হোসেন, এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক শহীদ মাহমুদ , ইউনিসেফ এর সামাজিক নীতি বিশেষজ্ঞ হাসিনা বেগম, পুলিশের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিন, আইএলও এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর সৈয়াদা মুনিরা সুলতানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা রওনক প্রমুখ।
×