ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনা অঞ্চলে কমেছে মাছের রফতানি

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৯ জুলাই ২০১৮

খুলনা অঞ্চলে কমেছে মাছের রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ খুলনা অঞ্চলে মাছের উৎপাদন বাড়লেও কমেছে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানি। গত অর্থবছরের তুলনায় হিমায়িত চিংড়ি, হিমায়িত মাছ (মিঠা পানি), হিমায়িত (সামুদ্রিক), বরফায়িত মাছ (কোল্ড ফিস), জীবন্ত কুইচা, কাঁকড়া, চিংড়ির খোসা ও অন্যান্য মাছ রফতানি কমেছে ১১৬ দশমিক ২৮১ ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ৯৯.৯৮ কোটি টাকা। মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দফতর খুলনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ২১৭.০৬৯ মেট্রিক টন। যার মূল্য ছিল ৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৬ ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ২ হাজার ৫৮৮.২৪ কোটি। ২০১৭-১৮ অর্থবছর মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানি হয় ২৯ হাজার ২০০.৭৮৮ মেট্রিক টন। যার মূল্য ৩১ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার ৮০ ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ২ হাজার ৪৮৮.৬৬ কোটি। জানা গেছে, গলদা, বাগদা, ক্যাট ফিশ, কার্প, ইলিশ, পারশে, ইল, বাইন, সল্ডটেড মাছ, ভেটকি, দাতিনা, কুইচা, কাঁকড়া, শুঁটকি এসব প্রজাতির মৎস্য চাষ হচ্ছে। এসব মাছ চাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষী, ফড়িয়া ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আর এ সব মৎস্য রফতানি করছে বিভিন্ন মাছ কোম্পানি মালিকরা। মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দফতর খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানি আয় কমেছে। মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানি হ্রাসের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বেনামি চিংড়ির দাম অনেক কম। আমাদের দেশে হিমায়িত চিংড়ির চাহিদাও কমেছে। আর এজন্যই বাগদা চিংড়ির রফতানি কমেছে। খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু ছাইদ বলেন, খুলনায় বরাবরই মাছের উৎপাদন ভাল। প্রতি বছর চাহিদা অতিরিক্ত মাছ উৎপাদন হয়। বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া, দাম কমে যাওয়া, রফতানি পণ্যেও গুণগতমান ঠিক না থাকাসহ বিভিন্ন কারণেই রফতানি আয় হ্রাস পাচ্ছে। এ বিষয়গুলো শণাক্ত করাসহ সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
×