ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আটকে আছে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিমি নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ১৯ জুলাই ২০১৮

আটকে আছে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিমি নির্মাণ কাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের চলমান মামলা জটিলতায় প্রায় আট বছর আটকে আছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ। এ কারণে সড়কটির পাখিমারা থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের এখন চরম বেহাল দশা। খানা-খন্দে একাকার হয়ে গেছে। সড়কটিতে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি নিম্নমানের কাজ করেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এমন মামলার কারনে ১১কিমি অংশের সংস্কার কাজ আটকে আছে। গুরুত্বপূর্ন সড়কটির এমন বেহাল দশায় কুয়াকাটায় যাওয়া-আসা নিত্যদিনের পর্যটকরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এমনকি পর্যটকের সংখ্যাও কমছে দিনকে দিন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের টেকনিকাল কমিটি তাদের সুপারিশে নকশা ডিজাইন অনুসারে সড়কটি টেকসই করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্পাদিত কাজের ওপরের লেয়ার তুলে অবশিষ্ট লেয়ারে অতিরিক্ত ১২৫ মিলিমিটার সাববেজ করার সুপারিশ করেন । তখনকার প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গঠিত টেকনিক্যাল টিম ২৬ফুট প্রস্থ রাস্তার মধ্যবর্তী ১২ফুট অংশে বেজ টাইপ-১ এর গড় পুরুত্ব ২০০মিলিমিটার এর পরিবর্তে ১৬৩ মিলিমিটার পাওয়ায় কাজের মান সন্তোষজনক নয় বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মধ্যবর্তী ১২ ফুট অংশের কার্পেটিংয়ের কাজ খুড়ে ফেলে বেজ কোর্সের কাজ অপসারন করার পর উক্ত অপসারিত মালামাল দিয়ে পুনরায় বেজকোর্সের কাজ সম্পন্ন করার সুপারিশ করেন টেকনিক্যাল কমিটি। কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটির প্রতিবেদনকে অবাস্তব অখ্যায়িত করে, প্রধান প্রকৌশলী ও স্থানীয় কমকর্তাদের বিরুদ্ধে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ তুলে পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করে দি রূপসা ইজ্ঞিনিয়ার্স লিমিটেড। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদলতের নিষেধাজ্ঞায় আটকে যায় সড়কটির নির্মাণ কাজ। ফলে সড়কটি চলাচল উপযোগী রাখতে নিজস্বভাবে উদ্যোগ নেয় সওজ। সওজের পটুয়াখালীস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন জানান, জনগুরুত্ব বিবেচনায় কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাখিমারা থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশে নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। নিয়মানুসারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডে’র সাথে চুক্তি বাতিল করে চিঠি ইস্যু করা হয়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডে পুনরায় আদালতের সরনাপন্ন হলে আটকে যায় সেই প্রক্রিয়া। বিয়য়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি এক মাসের মধ্যে চলমান সমস্যার নিস্পত্তি হবে। এবং খুব দ্রুত দরপত্র আহবানের মাধ্যমে সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন? যখন রুপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এসব অনিয়ম করছিল তখন একাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সওজের প্রকৌশলী কী করছিল। তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
×