ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২০ জুলাই ২০১৮

গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস এ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’ (আইএসপিএবি) মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত নতুন সরকারী বিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এর মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও সরকারী সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমানো হবে। আইএসপিগুলোর আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি সরকারের নজরে আনা হয়েছে। আইএসপিএবি আশা করে, মূসক বিধি সংশোধন করে সরকার তাদের ব্যবসায়িক সুবিধা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। ১৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইন্টারনেট খাতের জন্য প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর কাঠামো সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন (এস.আর.ও নং-২০৪-আইন/২০১৮/৮০৭-মূসক) জারি করে। সংশোধিত নিয়মে ব্রডব্যান্ড ক্রয়ে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবায় ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট ট্রান্সমিশন (এনটিটিএন) চার্জের ক্ষেত্রে আগের মতো ১৫ শতাংশ মূসকই বহাল রাখা হয়। এ পরিবর্তনের ফলে আইএসপিগুলো আগে ব্যান্ডউইডথ কেনা এবং ট্রান্সমিশন চার্জে যে ১৫ শতাংশ হারে মূসক রেয়াত পেত তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যায়। তারপরও আইএসপিএবি মনে করে, স্বল্পমূল্যে সবার কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার সরকারী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সমর্থন প্রদান করাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রাহক পর্যায়ে সংশোধিত হারে মূসক আরোপের মাধ্যমে তুলনামূলক কম মূল্যে গ্রাহকদের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তারা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই ইন্টারনেট সেবা গ্রহিতারা তাদের মাসিক ইন্টারনেট বিলে হ্রাসকৃত হারে আরোপিত মূসকের সুফল লক্ষ্য করতে পারবেন। গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যয় কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার কর্তৃক মূসকের হার হ্রাসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আইএসপিএবি বলেছে, ‘সংশোধিত মূসক বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর ক্ষেত্রে আইএসপিগুলো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। মূলত ব্যান্ডউইডথ ট্রান্সমিশনে (এনটিটিএন) আগের মতো ১৫ শতাংশ হারে মূসক বজায় থাকায় এবং রেয়াতের বিধান অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় ব্যান্ডউ ইডথ ট্রান্সমিশন ব্যয় আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
×