ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রফতানি আয় বাড়লেও প্রবৃদ্ধি আসছে না সম্ভাবনাময় খাত থেকে

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ২০ জুলাই ২০১৮

রফতানি আয় বাড়লেও প্রবৃদ্ধি আসছে না সম্ভাবনাময় খাত থেকে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তৈরি পোশাকের হাত ধরে দেশের সার্বিক রফতানি আয় বাড়লেও প্রবৃদ্ধি আসছে না অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত থেকে। সবশেষ অর্থবছরে তৈরি পোশাক থেকে মোট রফতানির সাড়ে ৮৩ ভাগ আয় হলেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে রফতানির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে। এছাড়াও সম্ভাবনাময় প্লাস্টিক ও প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত খাদ্যেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত অর্থবছরে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে পোশাক নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে মনোযোগী হতে হবে অন্য সব খাতেই। বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র সাড়ে ৬ শতাংশ। যেখানে মোট রফতানির ৩৪ থেকে ৩৬ ভাগ চীনের দখলে। তাই পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশের শীর্ষ এ খাতে অপার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে আয় বাড়ানোর। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে প্রথমবারের মতো এ খাতের রফতানি ছাড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার যা কি না লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও খানিকটা বেশি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে পৌনে নয় শতাংশ। পোশাক খাতে রফতানির এমন সন্তোষজনক অগ্রগতি নিয়ে বিজিএমইএ জানায়, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে গত কয়েক বছর ধরে চলা সংস্কার কাজের সুফল মিলতে শুরু করেছে রফতানি আয়ে। বিজিএমই-এর এই নেতা জানান, রফতানি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আসছে নির্বাচনী বছরে নির্বাচন নিয়ে যত না শঙ্কা, তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট, বন্দর ও অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা। পোশাক খাতের হাত ধরে দেশের সামগ্রিক রফতানি প্রবৃদ্ধির ছবি স্বস্তি দিলেও অস্বস্তিও কম নেই রফতানির অন্যান্য খাতগুলোতে। যেখানে সম্ভবনাময় অনেক খাতের রফতানি বরং আগের বছরের তুলনায় কমেছে। এই যেমন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে পৌনে ১৬ শতাংশ। এছাড়াও প্রকৌশল পণ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫০ ভাগ। তাই শুধু পোশাক নির্ভর না হয়ে রফতানির এমন সম্ভাবনাময় খাতে মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের। সবশেষ অর্থবছরে হিমায়িত খাদ্য রফতানিতেও প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ।
×