ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গামাটির নানিয়াচর থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপহরণ

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২০ জুলাই ২০১৮

রাঙ্গামাটির নানিয়াচর থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপহরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি ॥ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সন্ত্রাস কবলিত দুর্গম নানিয়াচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং থেকে আরারও সাবেক এক উপজেলা চেয়ারম্যানকে সন্ত্রাসীরা আপহরণ করে নিয়ে গেছে। তার নাম প্রীতিময় চাকমা। এলাকাবাসী ও ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নানিয়াচরের সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে একটি ইঞ্জিনবোটে করে মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ির দিয়ে নিয়ে যায়। এই রির্পোট (শুত্রুবার দুপুর ২টা) পর্যন্ত এর কোন হদিস মেলেনি।নির্ভর যোগ্য সূত্র থেকে এর সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে নানানিয়াচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঙ্গে যোগাযোগ করা কলে তিনি কিছুই জানেনি বলে জানায়। এদিকে ইউপি ডিএফ রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান শান্তিদেব চাকমা শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে নানিয়াচর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানকে অপহরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছ্ ে অবিলম্বে তাকে উদ্ধারে তড়িৎ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে। তিনি অপহরণকারীদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।ি এই ঘটনার জন্য নব্য মুখোশ বাহিনী ও জেএসএস সংস্কারবাদীর সশস্ত্র দুর্বৃত্তকে দায়ি করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টির জন্য একটি মহল গতবছর ১৫ নভেম্বর নব্য মুখোশ বাহিনী নামে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে জন্ম দেয় বলে শান্তিদেব চাকমা দাবি করেছে।এর পর থেকেই এই বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও চাঁদাবাজির ঘটনা অবিরামভাবে ঘটিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য গত ৩ এপ্রিল নানিয়াচর উপজেলা চেয়াম্যান শক্তিমান চাকমাকে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা খুন করার পরের দিন ইউপিডিএফ সংষ্কার নেতা বর্মা সহ ৫জন খুন হয়। এর পর থেকে এলাকায় অশান্তি বিরাজ করছে। শক্তিমানের শূন্য পদে আগামী ২৫ জুলাই উপ নির্বাচন হবে । এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানিয়াচর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে। নানিয়াচর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য অন্যায় প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যই এই অপহরণ পাল্টা অপহরণ হচ্ছে বলে এলাকার সচেতেন মহল মনে করছে। গত ৮ জুলাই সন্ত্রাসীরা ২৭ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে। পরে এদের একজনকে রেখে অন্যদের মুক্তিপণের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। এই সব ঘটনা নিয়ে এলাকার নিরহ জনগণের মধ্যে উৎকষ্ঠ সৃষ্টি হয়েছে।
×