ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রাবাড়ীতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা হত্যার অভিযোগে শিক্ষক দম্পতি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৩:০২, ২০ জুলাই ২০১৮

যাত্রাবাড়ীতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা হত্যার অভিযোগে শিক্ষক দম্পতি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা আক্তারকে (১০) হত্যার অভিযোগে এক শিক্ষক দম্পতি গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত হচ্ছেন, যাত্রাবাড়ীর স্কুলের শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনি ও তার স্বামী মোরশেদ আলম। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়ার পর শুক্রবার পুলিশ ওই শিক্ষক দম্পত্তিকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ি থানা নিয়ে আসে। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার অভিযোগ পাওয়ার পরই শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনি ও তার স্বামী মোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ২১ এপ্রিল উত্তর যাত্রাবাড়ীর স্কুল শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনির বাসায় (বিবির বাগিচার ২ নং গেটের ৭২/২/২- এম বাসা) অন্য শিশুদের সঙ্গে পড়তে যায় সানজিদা। ওই দিন শিক্ষিকা নুসরাতের শোওয়ার ঘরে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় স্কুল পড়ুয়া শিশু সানজিদার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর সানজিদার পরিবার হত্যার অভিযোগ করলেও নুসরাত ও তার স্বামী মোরশেদ দাবি করেন, সানজিদা খেলতে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফাঁস লেগে মারা যায়। ঘটনার দিন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (ইউডি) হয়। পরে সানজিদার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গত ২৩ এপ্রিল সানজিদার লাশ তার বাবা গাড়িচালক মোঃ শাহজাগান ও মা জান্নাতি বেগম তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে নিয়ে যান। সেখানেই লাশ দাফন করা হয়। যাত্রাবাড়ি থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার সানজিদার লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যাত্রাবাড়ী থানায় পৌঁছায়। এতে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত রিপোর্ট ছিল। এরপর ওই দম্পতিকে তাদের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সানজিদার বাবা শাহাজাহান অভিযোগ করেন, আমরা প্রথম থেকেই এ বিষয়ে অভিযোগ করে আসছি। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। এলাকাবাসী জানান, স্কুল শিক্ষিকা নুসরাত বিবির বাগিচার ভাড়া করা বাড়ির ৫ম তলায় থাকেন। ওই ফ্ল্যাটে এলাকার অনেক শিশুকে পড়ান। সানজিদাও ওই বাসায় গিয়ে পড়তো। ডিএমপির ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়েছি। সেখানে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা বলা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল। এখন তা হত্যা মামলা রূপান্তরিত হবে।
×