ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডি সচিব প্রত্যাহার, দুই কর্মকর্তা সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২১ জুলাই ২০১৮

 বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডি সচিব প্রত্যাহার, দুই কর্মকর্তা সাসপেন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ও নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর ॥ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা সঙ্কটের জের ধরে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মদ ও খনির সচিব (জিএম প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে প্রত্যাহার করেছে পেট্রোবাংলা। একই কারণে মাইনিং বিভাগের জিএম নূরুজ্জামান চৌধুরী ও ডিজিএম খালেদুলকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রেট্রোবাংলা জিএম (প্লানিং) আইয়ুব আলী খান চৌধুরীকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় এই আদেশ জারি করেন পেট্রোবাংলা জিএম প্রশাসন মাজেদুর রহমান। প্রেট্রোবাংলার জিএম মাজেদুল রহমান বলেন, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে কয়লা নেই, কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা মজুদ না থাকায়, তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এদিকে গত ১৫ জুন থেকে খনিতে কয়লা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সচিব ও খনির মাইনিং বিভাগ, তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য কয়লা মজুদ না রেখে, বাহিরে কয়লা বিক্রি করে দিয়েছে। যার কারণে জ¦ালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খনিজ ও জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি এই আদেশ জারি করেছেন। সাময়িক বহিষ্কার প্রাপ্ত জিএম (মাইনিং) নুরুজ্জামান চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, খনির নিয়মানুযায়ী একটি ফেইজ এর কয়লা শেষ হলে, আর একটি নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয়। সেই কারণে চলতি বছরের ১৬ জুন থেকে নতুন ফেইজে উৎপাদন যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে। উৎপাদন যন্ত্র স্থাপনের কাজ শেষ হলে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, গত এপ্রিল ও মে মাসে খনির শ্রমিকরা আন্দোলন করার কারণে কয়লা উত্তোলন কমে গিয়েছিল যার ফলে কয়লার এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এদিকে কয়েকবার যোগাযোগ করেও সদ্য প্রত্যাহার হওয়া এমডি হাবিব উদ্দিন আহম্মদ ও জিএম প্রশাসন আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে তাপবিদ্যুত কর্তৃপক্ষ বলছেন, গত এক মাস থেকে খনি কর্তৃপক্ষ চাহিদা অনুযায়ী কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। কয়লা না থাকায় তাপবিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। তাই বিষয়টি জ¦ালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
×