ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের যে শহর নির্বাচনে ভোট দেবে না

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ২১ জুলাই ২০১৮

পাকিস্তানের যে শহর  নির্বাচনে ভোট দেবে না

অনলাইন ডেস্ক ॥ পাকিস্তানে নির্বাচনী হাওয়া। শুধু রাবওয়াহ শহরের চিত্র ভিন্ন। সেখানে নেই কোনো নির্বাচনী র্যালি। রাস্তায় কোনো পোস্টারও চোখে পড়ে না। যদিও প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে বেশ প্রভাবশালী ব্লক হতে পারে এই শহরটি। আসন্ন জুলাইয়ের ২৫ তারিখের নির্বাচনে এ শহরের ৯০ শতাংশ মানুষ ভোট দেবে না। পাঞ্জাব প্রদেশের রাবওয়া শহরের মানুষ প্রধানত আহমাদি মুসলিম। তাদের অভিযোগ, সংখ্যালঘু হিসেবে তাদের ওপর বৈষম্যমূলক আইন প্রয়োগ করা হয়। এ কারণেই তারা ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকবেন। পাকিস্তানের নির্বাচনী আইন ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আহমাদিদের পৃথক তালিকায় রেখেছে। সেখানে তাদের অমুসলিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের সমাজের নেতাদের মতে, এই বৈষম্য মুসলমান হিসেবে তাদের আত্মপরিচয়ের অধিকার খর্ব করে। সমাজের মুখপাত্র সালিম উদ দিন রয়টার্সকে বলেন, 'এটা আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়। এখানে কোনো ছাড় নেই'। এ নিয়ে পাকিস্তানের ইলেকশন কমিশন কোনো মন্তব্য করেনি। সালিমকে কাছে পাটানো এক চিঠিতে ইলেকশন কমিশন জানায়, এই আইন কমিশন বদলাবে পারবে না। আহমাদি সমাজের নেতারা বলেন, সাধারণ নির্বাচনে আহমাদিবিরোধী বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রাজনীতিকরাও ধর্ম নিয়ে সংরক্ষণশীল ভোটারদের মন জোগাতে সচেষ্ট। গত বছর আহমাদির ভোটাধিকার প্রয়োগকে সহজ করতে নির্বাচনী আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠেছিল। কিন্তু পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়। সুন্নিরা মূলত আহমাদিদের ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন এক গোষ্ঠী বলেই মনে করে। আইন অনুযায়ী আহমাদিরা তাদের প্রার্থণার স্থানকে মসজিদ বলতে পারে না, কোরআন পাঠ করতে পারে না এবং অভ্যর্থনা-শুভেচ্ছা জানাতে গতানুগতিক ইসলামিক ধারার বাক্যও ব্যবহার করতে পারে না। বছর তিনেক আগে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) আহমাদি সমাজকে অমুসলিম বলে ঘোষণা দেয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, এই সমাজের ৫ লাখ আহমাদিদের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাঞ্জাবের ২০টিরও বেশি সংখ্যক আসনের ফলাফল বদলে দিতে পারেন তারা। সূত্র: রয়টার্স
×