ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শক্তির নিত্যতা সূত্রকে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর

প্রকাশিত: ০২:৩৮, ২১ জুলাই ২০১৮

শক্তির নিত্যতা সূত্রকে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রের মধ্যে অন্যতম ‘শক্তির নিত্যতা সূত্র’। এই সূত্র অনুযায়ী, শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়। আধুনিক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত এই সূত্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রবীণ বিজ্ঞানী নজমুল হুদা। তার দাবি, সৃষ্টি থেকে শক্তির সৃষ্টি সম্ভব। বিশাল বস্তুপিন্ডে যে মহাবিস্ফোরণের ফলে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, সেই বিস্ফোরণের কারণ হলো ‘চাপ’। মহাবিশ্বের বস্তুগুলো পরস্পর থেকে ক্রমান্বয়ে যে নির্দিষ্ট গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে, সেই গতির কারণও ‘চাপ’। নজমুল হুদা বলছেন, এই ‘চাপই’ মূলত শক্তি সৃষ্টি করে। সৃষ্টির একেবারে শুরু থেকে ‘চাপই’ গতির কারণের ইঙ্গিত দেয় এবং প্রকৃতিতে বিরাজমান সেই অফুরন্ত ‘চাপ’-কে (আপাত দৃষ্টিতে ‘বল’) মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো সম্ভব। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সৃষ্টি থেকে শক্তির সৃষ্টি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞানী নজমুল হুদা এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির ভর ও শক্তির ব্যাখ্যা এবং নিউটনের গতি সংক্রান্ত সূত্রের অসংগতি তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সমকালীন পদার্থ বিদ্যার বইগুলো সেকেলে ও অপর্যাপ্ত। এগুলোকে নিউটন-আইনস্টাইনের কতিপয় গালগল্প, দায়িত্বহীন ক্ষমতাবান বিজ্ঞান মহল এবং একচোখা বিজ্ঞান ইতিহাস লেখক ও বৈজ্ঞানিক কৃতিত্ব প্রদানকারীদের হাত থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, সমকালীন মডার্ন পদার্থবিদ্যার বইগুলো সাধারণত ’রিলেটিভিটি’ অধ্যায় দিয়ে শুরু করা হয়, যার মধ্যে আইনস্টাইনের দুটো রিলেটিভিটি থিওরাই, টাইম ডাইলেন ভর ও শক্তি, ভরহীন কণা, টুইন প্যারাডক্স ইত্যাদি বিষয়গুলো থাকে। মজার ব্যাপার হলো সবগুলো বিষয়ই টাইম ডাইলেশনের উপর নির্ভরশীল এবং এই টাইম ডাইলেশন ত্রুটিপূর্ণ। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, তার আবিষ্কার বিজ্ঞানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব থাকায় আবিষ্কারের স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের সহযোগিতা চান। তিনি জানান, এসব বিষয়ে লিখিত উপস্থাপনা ও যুক্তি-প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছিলেন। তারা তার যুক্তি-প্রমাণ অস্বীকার করেনি, কিন্তু স্বীকৃতিও দেয়নি। নজমুল হুদা জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে বুয়েট থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ডিগ্রি নেয়ার পর তিনি সাবেক ট্যারিফ কমিশনের উপদেষ্টা ও ইউএনডিপি কনসালট্যান্টসহ বিভিন্ন পেশায় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার বাসিন্দা।
×