ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া এতিমখানা মামলায় আপীলের আজ শুনানি

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২২ জুলাই ২০১৮

জিয়া এতিমখানা মামলায় আপীলের আজ শুনানি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট (এতিমখানা) দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার করা আপীল শুনানি আজ রবিবার ষষ্ঠ দিনের মতো আবার শুরু হচ্ছে। গত বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে পঞ্চম দিনের মতো শুনানি হয়। শুনানি শেষে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত আজ রবিবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বৃহস্পতিবার শুনানিতে আপীলকারীর আইনজীবীরা পেপারবুক থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য, জেরা ও জবানবন্দী পড়ে শোনান এবং বক্তব্য উপস্থাপন করেন। শুনানির পর খালেদার আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আগামী রবিবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন। সেদিন দুইটায় আপীলের ওপর শুনানি হবে। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পাঁচ মাসের মাথায় গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে করা এই আপীলের ওপর শুনানি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে মামলার আপীল শুনানি পাঁচদিন অতিক্রম করেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদ- দেন। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি (অনুলিপি) হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি আপীল দায়ের করা হয়। গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপীল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে ১৪ মার্চ আপীল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে হাইকার্টের দেয়া জামিনাদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপীল (আপীলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে নির্দেশ দেন আপীল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন আপীল আদালত। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপীল দায়ের করেন। এ লিভ টু আপীলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আপীল বিভাগ। পরে ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপীল মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপীল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। তারপর আপীল শুনানি শেষে ১৬ মে রায় দেন আপীল বিভাগ। রায়ে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপীল খারিজ করে দেন আপীল বিভাগ। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের দেয়া ৫ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া যে আপীল করেছেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপীল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপীল বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের অনুলিপি বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে গত ১১ জুন প্রকাশিত হয়। এখন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এই আপীলের শুনানি অব্যাহত রয়েছে।
×