ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবিতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২২ জুলাই ২০১৮

ঢাবিতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে নিচে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এরা হচ্ছেন, স্বপন (২৪) ও মাইদুল ইসলাম (৩০)। নিহত স্বপনের বাড়ি পাবনা এবং মাইদুলের বাড়ি রংপুরে। নির্মাণাধীন ওই ভবনেই থাকতেন তারা। নিহতদের সহকর্মী শান্ত দাসের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জগন্নাথ হলের ভেতরে পুরনো ৮ তলা সন্তেুাষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের ওপরের নির্মাণাধীন ভবন থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয় ওই দুই শ্রমিক। পরে তাদের উদ্ধার করে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। শান্ত দাস আরও জানান, সকালে ৮ তলা সন্তেুাষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের ওপরের নির্মাণাধীন দোতলায় কাজ করছিলাম কয়েক শ্রমিক। শনিবার নবম তলার বাইরে মাঁচা বেঁধে দেয়ালে আস্তরের কাজ করছিলেন স্বপন ও মাইদুল। এ সময় হঠাৎ মাঁচা কাত হয়ে দু’জনই ভবনের নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বিকেল পৌনে ৫টায় মৃত ঘোষণা করেন। জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক অসীম সরকার জানান, হলের সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য ভবন আটতলা থেকে দশতলা পর্যন্ত বর্ধিত করণের কাজ চলছে। সেখান থেকে পড়ে দু’জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হল কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের কোনও ত্রুটি থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী জানান, হলের প্রভোস্ট বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে পক্ষেরই ত্রুটি থাকুক। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকা মেডিক্যালে হাজতির মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলার আসামি হাসমত উল্লাহর (৮০) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান। কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী বারেক জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত হাজতির গ্রামের বাড়ি নরসিংদী রায়পুরা উপজেলায়। কারারক্ষী বারেক আরও জানান, ২০০৭ সালের যাত্রাবাড়ীর থানার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন হাসমত উল্লাহ। ওই মামলায় হাজতি হিসেবে কারাগারে ছিলেন তিনি। তার হাজতি নম্বর ১৯৩২৪/১৭। তিনি জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হাসমতকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
×