ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ্যালামনাই অনুষ্ঠানের মঞ্চ আগুনে পুড়লেও রাষ্ট্রপতি যাচ্ছেন বাকৃবিতে

প্রকাশিত: ২০:২৫, ২২ জুলাই ২০১৮

এ্যালামনাই অনুষ্ঠানের মঞ্চ আগুনে পুড়লেও রাষ্ট্রপতি যাচ্ছেন বাকৃবিতে

বাকৃবি সংবাদাতা ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মুর্হূতেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সজ্জিত অনুষ্ঠান মঞ্চ। শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গৌরব ও সাফল্যের ৫৭তম বছর পূর্তি এবং হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষ্যে বর্ণিভাবে সাজানো হয়েছিল পুরো মাঠ। শনিবার মধ্যরাতে আকস্মিক অগ্নিকান্ডে অনুষ্ঠানস্থলের সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে এতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অগ্নিকান্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে উপাচার্যের বাসভবনে জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় জরুরী সভায় বসে। পরে অনুষ্ঠান সূচি অপরিবর্তিত রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়। বেলা ২টার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। উপাচার্য সভায় সাংবাদিকদের বলেন, অনুষ্ঠানের জন্য অনেক অ্যালামনাই ও অতিথি বাইরে থেকে এসেছেন। দুর্ঘটনার কারণে বিকল্প হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ৫৭ বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি সেখানে উপস্থিত থাকবেন। তবে মিলনায়তনে ২ হাজার লোকের আসন রয়েছে। সেখানে আসন সংকুলান না হওয়ায় মিলনায়তনের পার্শ্ববর্তী হেলিপ্যাডে যেখানে কৃষি প্রযুক্তি মেলা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে বাকিদের বসার ব্যবস্থা করা হবে। বড় পর্দায় মূল অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা থাকবে। উপাচার্য অ্যালামনাই এবং অতিথিদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং এ দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। সরোজমিনে দেখা গেছে, সমাবর্তন মাঠে ৫ হাজার লোকের আসনবিশিষ্ট একটি প্যান্ডেল এবং মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমে প্যান্ডেলের পশ্চিম পাশে হঠাৎ একজন আগুনের ফুলকি দেখতে পান। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের মোট সাতটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে প্যান্ডেলের চেয়ার, ফ্যান, সাউন্ড সিস্টেম এবং এলইডি স্ক্রিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সহিদুর রহমান বলেন, আমরা ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হই। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
×