ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রা বন্দর এলাকায় ইউপি নির্বাচন ২৫ জুলাই ॥ ভোটাররা প্রস্তুত

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২২ জুলাই ২০১৮

পায়রা বন্দর এলাকায় ইউপি নির্বাচন ২৫ জুলাই ॥ ভোটাররা প্রস্তুত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ দক্ষিণের সাগরমোহনার জনপদ রাবনাবাদ পাড়ে পায়রা বন্দর এলাকায় চলছে ইউপি নির্বাচনের ঢেউ। আগামী বুধবার ২৫ জুলাই হবে এনির্বাচন। এনিয়ে এখানকার মানুষ এখন নির্বাচনি আমেজে সময় পার করছেন। সবশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোট দেয়ার। রাবনাবাদ পাড়ের জনপদের মানুষের রয়েছে বিস্তর অভিজ্ঞতা। তবে তা যতোটা মধুর; তার চেয়ে বেশি তেতো। সিডরের ভয়াল তান্ডবের পর থেকে এই জনপদের মানুষকে সব হারাতে হয়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ঘরবাড়িসহ সম্পদ। বিধ্বস্ত হয়ে গেছে জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটা থেকে রক্ষায় বণ্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। বাঁধ নির্মাণে সরকারের যেমন কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তেমনি এখানকার মানুষও নিজেদের অর্থায়নে বাঁধ রক্ষায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু সেই তিমিরেই রয়ে গেছে তাদের ভাগ্য। সিডর পরবর্তী সময়ে এই রাবনাবাদ পাড় ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করছেন দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর। করছেন শেরইবাংলা নৌঘাটি। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে এই ইউনিয়নকে ঘিরে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী এখানে জয়লাভ করতে পারেনি। সংসদ নির্বাচনে এ জনপদের ৭০ভাগ মানুষ ভোট দেয় নৌকা প্রতীকে। তার ওপর এতো উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ করেও স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল তাদের পক্ষে আসেনি। বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুজ্জামান তারা। এবার আওয়ামী অধ্যুষিত জনপদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মী প্রথম পছন্দ করেন শওকত হোসেন বিশ^াসকে। এরপরে দ্বিতীয় পছন্দের ছিল ফোরকান হাওলাদারকে। আর তৃতীয় পছন্দের ছিল তারিকুজ্জামান তারা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তারিকুজ্জামান তারাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। বিধ্বস্ত এক জনপদ এখন লালুয়া। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও রয়েছে বিদ্রোহী মু. শওকত হোসেন তপন বিশ^াস, বিএনপি মনোনীত সজল বিশ^াস ও ইসলামী আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন। মোট চারজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। আর মেম্বার পদে ৩৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হিসেবে লড়ছেন ১২ নারী। ভাসা-ডোবা জনপদ হিসেবে রাবনাবাদ পাড়ের এই নির্বাচনকে ঘিরে ১১ হাজার ৫০০ ভোটারের এখন চাওয়া-পাওয়া একটাই, দুর্নীতিমুক্ত একজন প্রার্থীকে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী করা। কলাপাড়া থানার ওসি মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, যদিও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা। তারপরও নির্বাচনী পরিবেশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তফশিল ঘোষণার পর থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে আসছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নের জন্য তাদের শতভাগ প্রস্তুতি রয়েছে। আর তাই কলাপাড়ার মানুষের এখন চোখের দৃষ্টি লালুয়ার নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ তারা বিজয়ী হবেন। তবে সাধরণ ভোটারদের দাবি লড়াই হবে ত্রিমুখি।
×