ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখল ॥ সাংবাদিক সম্মেলন

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২২ জুলাই ২০১৮

আদালতের  রায় অমান্য করে জমি দখল ॥ সাংবাদিক সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ আদালতের রায় অমান্য করে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া পৈতৃক জমি দখল করে জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ করার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটির ঈশ্বরদী উপজেলা রোডস্থ কার্যালয়ে ভেলুপাড়ার চা দোকানদার মজনু খাঁ এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মজনু খাঁ বলেন, আমি ভেলুপাড়ার চা দোকানদার (মজনু খাঁ )। আমার দশমিক শূণ্য আট একর জমি জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণ করছে ভেলুপাড়ার আমিরুল ইসলাম । ঈশ্বরদীর ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা আলহাজ্ব মোড়ের ইক্ষু গবেষণার বাউন্ডারী ওয়াল ও আইকে রোড সংলগ্ন অরোনকোলা মৌজার এ জমি টিন দিয়ে ঘিরে আমিরুল সম্প্রতি একটি ঘর নির্মাণ করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমিরুল ও আমার লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। যে কোন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়ে এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশংখা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আমি জমি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। তিনি বলেন, আমি পৈতৃক সূত্রে এক দশমিক উনত্রিশ একর জমি পাই। এর পর আমি ঘেরাও করে দখলে রাখি। এমন সময় আমিরুল ইসলাম ভূঁয়া দলিল করে পাবনা জজ কোর্টের ঈশ্বরদী সহকারী জজ আদালতে জমির মালিকানা দাবি করে আমার বিরুদ্ধে সে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গত ১৫.০৯.২০১৫ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। রায় পাওয়ার পর আমি গত ২৩.০৮.২০১৬ ইং তারিখে এক দশমিক উনত্রিশ একর জমির মধ্য থেকে শূণ্য দশমিক ছাপান্ন একর জমি নিজ নামে খাজনা খারিজ সম্পন্ন করে অদ্যবধি খাজনা পরিশোধ করে আসছি। এমতাবস্থায় আমিরুল ইসলাম গত ২৮.০২.২০১৮ ইং তারিখে ঈশ্বরদী সহকারী জজ আদালতে নিষ্পত্তিকৃত টিএস-৪৮/৯৯ নং মামলার রায় ও ডিগ্রীকে অমান্য করে আমার জমির মধ্য থেকে শূণ্য দশমিক ছাপান্ন একর জমি নিজেদের বানানোর জন্য ঘর নির্মাণ করছেন। এ ঘটনার পর আমি থানায় একটি জিডি এবং প্রায় পনের দিন আগে একটি অভিযোগ দাখিল করি। এ পর্যন্ত কোন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। আমি জমি থেকে নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ পুর্বক আমিরুল কর্তৃক অবৈধভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এবং সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। এদিকে মজনু খাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া অভিযোগ সম্পর্কে অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম বলেন, জাল দলিল করে জমি কেনার প্রশ্নই আসেনা। আমি বৈধভাবে জমি কিনেছি প্রয়াত ইউসুব আলী চেয়ারম্যান গংয়ের নিকট থেকে। জমি কেনার পরই টিন দিয়ে ঘেরা দিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করেছি। মজনু খাঁর দাবিকৃত দাগের জমি ইক্ষুগবেষণা ইনষ্টিটিউটের বাউন্ডারী ওয়ালের মধ্যে চলে গেছে। সঠিক ভাবে মাপযোগ করলেই আসল রহস্য বেরিয়ে পড়বে। কাজেই তার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া সে আমাকেসহ আরও অনেককে জাল দলিল ও মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করছে। ঈশ্বরদী থানার ওসি আজিম উদ্দিন মজনু খাঁর অভিযোগ সঠিক না দাবি করে বলেন, জিডি দাখিল করার পর তদন্ত করে কোর্টে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। মজনুর দাখিলকৃত অভিযোগও সঠিকনা। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটারও কিছু নেই।
×