নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ রবিবার সকালে টঙ্গীর গাজীপুরায় যাত্রীবাহী এক রিক্সাকে শাখা রোড থেকে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে উল্টো পথে যেতে না দেবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক অপ্রীতিকর ঘটনায় পুলিশ সার্জেন্ট ও কনষ্টেবলের মারধরের শিকার হয়েছেন সোনালী ব্যাংকের এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
তার নাম আমির হোসেন (৪৫)। তিনি গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় কর্মরত। স্হানীয় সাতাইশ এলাকায় তিনি বসবাস করেন। এই ঘটনায় পুলিশ সার্জেন্ট ফিরোজ ও কনষ্টেবল শ্যামল দত্তকে তাৎক্ষনিক প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশের ভাষ্য, প্রথমে ব্যাংক কর্মকর্তা পুলিশের প্রতি লাথি মারার উদ্দ্যত হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, আমির হোসেন সকাল নয়টার দিকে রিক্সা যোগে ব্যাংকের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হন। সাতাইশ রোড়ের মাথায় পৌঁছালে সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট ফিরোজ ও কনস্টবল শ্যামল দত্ত রিক্সা থামান। তারা উল্টো পথের মহাসড়কে রিক্সা আর যেতে দেয়া হব না বলে জানান।
এ নিয়ে রিক্সা চালকের সঙ্গে পুলিশের দুই সদস্যর বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় যাত্রী আমির হোসেন পুলিশ সদস্যদের বলেন, তিনি ভাড়া দিয়ে চলে যাচ্ছেন। তিনি পরে রিক্সাটি সরিয়ে দেয়ার অনুরাধ করেন। কর্মকর্তার ওই কথায় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সার্জেন্ট ফিরোজ ও কনস্টেবল শ্যামল দত্ত বেধম মারধর শুরু করন। পরে আশপাশর লোকজন ছুট এসে ঘটনার প্রতিবাদ ও দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তিনি ফোর্সসহ ঘটনা স্হলে যান এবং ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার কর টঙ্গী থানায় নিয়ে আসেন।
ব্যাংক কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, আচমকা দুই পুলিশ সদস্যর এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাত তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে গেছে। হাত রক্তাক্ত জখম হয়েছে।গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা উল্টো পথে রিক্সাযাগে যেতে চাচ্ছিলেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। কেউ কাউক ছাড় দেয়নি। ব্যাংক কমকর্তা আহত হয়েছেন। পুলিশ কনস্টবলকে ব্যাংক কর্মকর্তার স্বজনরা ছুটে এসে কিল ঘুষি লাথিতে আহত করেন। প্রাথমিকভাব পুলিশ সদস্যদর অসদাচরণর অভিযোগ তাৎক্ষণিক পুলিশ লাইন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
