ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন যুদ্ধে জয়লাভ করতে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২২ জুলাই ২০১৮

দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন যুদ্ধে জয়লাভ করতে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য  :  রাষ্ট্রপতি

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ আমাদের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে। এ জন্য কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য। বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় জলবায়ূ পরিবর্তন জনিত বৈরিতা মোকাবেলা করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ধান, গম ভুট্টা, মাছ, মাংস উৎপাদনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের গড় উৎপাদকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলছে। কৃষি ভর্তুকি, কৃষকের অনূকুলে সার, সেচ, বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রদান, কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং সরকারের বাস্তবমুখী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপে এটি সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাফল্য ও গৌরবের ৫৭ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জসিমউদ্দিন খান। রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ক্রমবর্ধিত জনসংখ্যা, জন ও জমির স্বল্প অনুপাত, জলবায়ূ ও পরিবেশগত অবস্থা, অবকাঠামো ও বিভিন্ন স্থাপনার বিস্তৃতিতে কৃষি জমি উদ্বেগজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভশীলতা, দুর্যোগ সহনশীল বিভিন্ন জাতের ফসল উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে হবে। পরে তিনি হাওড় ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় কিশোরগঞ্জের হাওড় অঞ্চলে আমার বাড়ি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, হাওড় এলাকার কৃষকদের বছরে একটি মাত্র ফসল বোরোর ওপর নির্ভর করেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় আগাম বন্যার কারনে এ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রপতি বোরো ধানের উৎপাদনকাল কমিয়ে আনতে কৃষিবিদ, কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণবিদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, হাওড় ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট হাওড় অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি, নির্বাহী সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা। পরে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ্যালামনাই সমাবেশ, স্মৃতিচারণ, কৃতি অ্যালামনাই সংবর্ধনা, সাংগঠনিক আলোচনা, অ্যালামনাই ঘোষণা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মাঠে অনুষ্ঠানের একটি মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে হঠাৎ অগ্নিকান্ডে মুহূর্তেই সুসজ্জিত প্যান্ডেল পুড়ে যায়। এতে কয়েক কোটি টাকার মত ক্ষতি হলেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তীতে প্রশাসন অনুষ্ঠান সূচি অপরিবর্তিত রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
×