ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ সাখাওয়াত হোসেন

বাংলাদেশে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের কারণ ও প্রতিকার

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২৩ জুলাই ২০১৮

বাংলাদেশে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের কারণ ও প্রতিকার

ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ বিবেচনাধীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষ বিবেচনাধীন বলা হচ্ছে, কেননা ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের কারণ নির্ণয় ও প্রতিকার এবং প্রতিরোধকল্পে প্রত্যেক রাষ্ট্রকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়। তাছাড়া ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতা অন্য যে কোন ধরনের সহিংস অপরাধের তুলনায় মারাত্মক ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে থাকে। বিশেষ করে শিশু এবং নারীদের ক্ষেত্রে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের ভয়ঙ্কর প্রভাব বিভিন্ন সময় পরিলক্ষিত হয়। ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের মারাত্মক পরিণতিতে বিশ্বে প্রতিবছর হাজার হাজার নিরীহ মানুষ বিভিন্নভাবে হতাহতের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশও ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বাইরে নয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তথাপি বাংলাদেশে কিন্তু জঙ্গীবাদী কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়নি, থেমে থেমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীরা তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গঠিত বিশেষ টিমের সদস্যরা জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করার সক্ষমতা দেখিয়েছে এবং জনগণের সাধুবাদ ও প্রশংসা অর্জন করছে। এত কিছুর পরেও আমাদের বাংলাদেশ ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের হুমকির বাইরে নয়। কাজেই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনকল্পে সব ধরনের ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে ভবিষ্যতের সুস্থ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বার্থে। সমসাময়িক বিশ্বে অপরাধগত ইস্যুতে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ বিষয়টি একাডেমিশিয়ান, গবেষক, মানবাধিকার কর্মীসহ প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ কেন দিন দিন মারাত্মকভাবে প্রলয়ঙ্করীরূপে ফুঁসে উঠছে? এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মতামতের মাধ্যমে বেশ কিছু উত্তর চলে আসে। প্রথমত ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বিশেষণে কৌশলগত উপায়ে ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা উদ্দীপিত হয়ে মনোজাগতিক লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যে কোন ধরনের ভয়াবহ কাজের ঝুঁকি নিতে সর্বদা অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকে। দ্বিতীয়ত আধ্যাত্মিক মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে সমাজের প্রচলিত নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই নিজেদের উদ্ভাবিত উপায়ে কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নেতার নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। তৃতীয়ত সন্ত্রাসী দলগুলো সমগ্র সমাজ ব্যবস্থা, সংস্কৃতি, সরকার, প্রগতিশীল মতবাদে বিশ্বাসী শ্রেণীসমাজ এবং নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সমাজবিরোধী কর্মকা-ের প্রচারে ব্যস্ত থাকে। চতুর্থত সমাজে সাধারণ জনগোষ্ঠী জঙ্গীদের নিকট অসহায় অবস্থায় জীবনাচরণ করে থাকে। এ সুযোগে জঙ্গীরা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি তথা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে নানামুখী কাজ করে থাকে এবং সাধারণের মনে তাদের কর্মকা- সম্পর্কে ভীতিকর পরিবেশ তৈরিতে নিমগ্ন থাকে। শেষত ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী দলগুলো সহিংস তথা যে কোন কাজের মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতির (দলের মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত) শেষ দেখার খেলায় মেতে ওঠে এবং এহেন যাত্রায় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হয় না। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের দিকে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি বিশ্ববাসীর নজরে আসে। বারংবার ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের অনুশীলনে বিশ্ববাসী শঙ্কিত এবং ভয়ে তটস্থ। ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বিষবাষ্পে বিশ্বের এক সময়কার কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১/১১-এর হামলার পরে বিশ্ববাসী ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর উপস্থিতি ও কার্যকলাপ সম্বন্ধে অবগত হয়। বাংলাদেশেও ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতা অত্যন্ত প্রকট। বাংলাদেশের ইতিহাসে সব থেকে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে দেশব্যাপী একযোগে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবি। ১৯৯৯ হতে ২০০৫ সালের মধ্যে জঙ্গীরা ১৫৬ জনকে হত্যা করে এবং হতাহত হয় কয়েক হাজার মানুষ। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয়; ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো বিশ্বের যে কোন জায়গায় হামলা পরিচালনা করে হামলার দায়ভার স্বীকার করে নেয়। বাংলাদেশেও আমরা দেখেছি বেশ কয়েকজন ব্লগারকে হত্যা করার দায়ভার স্বীকার করেছে সংগঠনগুলো। অর্থাৎ সন্ত্রাসী দলগুলোর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং নির্দিষ্ট নেতার পরিচালনায় দলগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের আওতায় দলগুলো পরিচালনার জন্য আর্থিক সাহায্য বিভিন্ন মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের কারণ নির্ণয়নে বেশ কিছু গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রবন্ধগুলোতে বাংলাদেশে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বিস্তারে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও বাংলাদেশ এখনও বেকার সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়নি, দরিদ্রতার কারণে অনেক ছেলেমেয়ে বিপদগামী হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গীভিত্তিক দলগুলো তাদের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালনা করে আসছে। সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ও শেকড় প্রতিষ্ঠা করা হয় ওইসব এলাকায় যেখানে দরিদ্রতার হার উর্ধমুখী, কম শিক্ষিত, আর্থিকভাবে অসচ্ছলতা রয়েছে এবং সেখানে অনেকেই পিয়ার গ্রুপের সহায়তায় উৎসাহী হয়ে জঙ্গীবাদী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা নানাবিধ প্রলোভন ও পিয়ার গ্রুপের সহায়তায় জঙ্গীবাদী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া, হতাশা ও উচ্চাকাক্সক্ষা মেটাতে নতুন প্রজন্মের অনেকেই ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী দলগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক কাঠামো এবং রাজনীতিবিদদের সহায়তায় বেশ কিছু জঙ্গীভিত্তিক দল বাংলাদেশে তাদের বিস্তার ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল। যদিও সেসব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এখন নিষিদ্ধ, বন্ধ রয়েছে তাদের দলের কার্যক্রম। তবে ওইসব নিষিদ্ধ হওয়া দলের সদস্যরা কিন্তু বিভিন্ন সময় ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। এমনও অভিযোগ পাওয়া যায়, জঙ্গীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অনেকেই দল পরিচালনা করছে এবং কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জঙ্গীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে ওইসব রাজনীতিবিদ। আমার মনে হয় প্রকৃত রাজনীতিবিদরা কখনও এ ধরনের গর্হিত কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। আবার এও সত্য, ইদানীংকালে রাজনীতিতে বহু ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীর বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। অধিকিন্তু ‘পলিটিসাইজেশন অব ক্রিমিনাল’ অর্থাৎ রাজনীতিতে ক্রিমিনালদের বিচরণ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা মূলত প্রতিষ্ঠিত নেতাদের ছত্রছায়ায় রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ পায়। এ ধরনের সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতি সব সময়ই জঙ্গীবাদভিত্তিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমের হুমকিতে থাকে। বিদেশী রাষ্ট্রগুলো এখনও পর্যন্ত জঙ্গীভিত্তিক দলগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। এক গবেষণায় দেখা যায়, উন্নয়নশীল ৭৮টি দেশে জঙ্গীবাদী কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য আর্থিক সাহায্যের অনুসন্ধান পাওয়া যায়। এসব আর্থিক সাহায্য বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রুপের সদস্যদের কাছে চলে যায়, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবার থেকে আসা সদস্যদের নিকট। এসব আর্থিক সাহায্যের অধীনে থাকে মূলত নগদ অর্থ, প্রশিক্ষণ ও অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ। বাংলাদেশে আফগানিস্তানের আল কায়েদা ও তালেবানের অর্থ সরবরাহের বিষয়টি সকলের গোচরিভূত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কিছু এনজিও, গোয়েন্দা সংস্থা, মানি লন্ডারিং ও অন্যান্য অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে অর্থ সরবরাহ করে থাকে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ। কাজেই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ রোধ করার জন্য প্রত্যেককে যার যার জায়গা থেকে উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। শুধু সরকারের একার পক্ষে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সর্বস্তরের জনগণ একত্রিত হয়ে সরকারের সঙ্গে জঙ্গীবাদবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হবেন। যেমন বাসা ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়ার বিবরণী নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও অনেক বাড়িওয়ালাই বিস্তারিত তথ্যাদি জমা দিচ্ছেন না। সাম্প্রতিক সময়ে যে জঙ্গী দলগুলোকে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশই বাসার ভেতরে থেকে পুরো বাড়িকে জিম্মি করে ফেলছে কিংবা পুলিশ তথ্য পেয়ে ওইসব বাড়িতে আক্রমণ করছে। আমার মনে হয় বাড়িওয়ালারা যদি ভাড়াটিয়াদের সঠিক তথ্য থানায় জমা দিতেন তাহলে অনেক দুর্ঘটনা থেকে সাধারণ মানুষ রক্ষা পেত। ছেলেমেয়েদের স্কুলিং এবং তাদের পিয়ার গ্রুপ সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন থাকার কোন বিকল্প নেই। স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে যদি জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করার বই থেকে থাকে তাহলে ছেলেমেয়েরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে। তাই লেখাপড়ার সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে। ছেলেমেয়েরা কাদের সঙ্গে মিশছে, কাদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে ইত্যাদি সার্বিক বিষয়ে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর প্রদান করতে হবে। যে কোন মূল্যে অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি মাদকের উৎপাদন ও ব্যবহার, বিস্তার রোধ এবং বাজারজাতকরণ বন্ধে পুলিশ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। বিদেশ থেকে যেসব উপায়ে কিংবা মাধ্যমে জঙ্গীদের হাতে টাকা আসে সেসব মাধ্যম বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশীয় যেসব প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার উদাহরণ রয়েছে তাদের বয়কট করতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠানের উদ্ভূত সেবা এবং পণ্যসামগ্রীকে সামাজিকভাবে পরিহার করতে হবে। সাংস্কৃতিক চর্চার বিকাশ ঘটাতে হবে। যার ফলে ছেলেমেয়েরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। কেননা বিজাতীয় ও অপসংস্কৃতির কারণে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা খারাপ কাজ এবং খারাপ সঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশায় বিপদগ্রস্ত হয়ে উঠে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি সমাজে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মূলনীতিকে বাস্তবায়নের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কমিউনিটির মাধ্যমে সমাজে উদ্ভূত সমস্যা ও অপসংস্কৃতিকে সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। সামাজিকভাবেই সম্মিলিত উপায়ে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের কারণগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। লেখক : প্রভাষক, ক্রিমিনোলজি এ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×