ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাঁশখালীতে প্রতিরাতে হানা দিচ্ছে বন্য হাতি

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৩ জুলাই ২০১৮

বাঁশখালীতে প্রতিরাতে হানা দিচ্ছে বন্য হাতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে বন্য হাতির পাল প্রতিরাতে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। হাতির পাল লোকালয়ে প্রবেশ করে বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলী ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। হাতির পালের আক্রমণে আহত হচ্ছে অনেক সাধারণ মানুষ। এদিকে পাহাড়ি অঞ্চলের লোকালয়ের যখন এই অবস্থা তখন বন বিভাগের লোকজন হাজারো চেষ্টা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না বন্য হাতির এই দলটিকে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ এই বন্য হাতির পালের তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ রবিবার রাত থেকে সোমবার (২৩ জুলাই) ভোর সকাল পর্যন্ত উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ি, জলদী, শীলকূপ, চাম্বল ও পুঁইছড়ি ইউনিয়নে পাহাড়ি অঞ্চলে বন্য হাতির পালটি বিচরণ করে তান্ডব চালাচ্ছিল। এদিকে বন্য হাতির তান্ডব হবে রক্ষা পেতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী লোকজন বিভিন্ন পন্থার অবলম্বন করে বাঁচার তাগিদে যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে গত সপ্তাহ থেকে সোমবার পর্যন্ত হাতির তান্ডবে লন্ডভন্ড বাড়ীঘরের ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, স্থানীয় মুন্সী মিয়ার পুত্র মোঃ আমিন, সিরাজ মিয়ার পুত্র নেজামুর রহমান, দানু মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ হোসেন, মুন্সি মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন, নাগু মিয়ার পুত্র রফিক আহমদ, মুন্সী মিয়ার পুত্র জাকের আহমদ, আব্দুল খালেকের পুত্র আনোয়ার ইসলাম, মুন্সী মিয়ার পুত্র আমির হোসেন। বন্যহাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীঘর পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা ও বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ১ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেন। এ ব্যাপারে বাঁশখালী ইকোপার্কের রেঞ্জার (ভারপ্রাপ্ত) আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, প্রতিদিন আমাদের লোক সাধনপুর, বানীগ্রাম ও পুকুরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় যাচ্ছে। হাতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তাই একটু সময়ের প্রয়োজনও আছে। সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, প্রতিনিয়ত হাতিগুলো গ্রামের ক্ষতি করছে। হাতির আক্রমণে ৮ বাড়ি ঘরের লোকজনকে পরিষদের পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
×